ইসলাম ডেস্কঃ-আগামী কাল ১১ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।এই রাত্রি সম্পর্কে হযরত মোহাম্মদ (সা:) বলেন,এই রাত্রিতে এবাদত-কারিদের গুনাহরাশি আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দেন।তবে কেবল আল্লাহর সাথে শিরককারী,সুদখোর,গণক,যাদুকর,কৃপণ,শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যাক্তি সাবান চাঁদের পঁনের তারিখে রাতে এবাদত করবে এবং দিনে রোজা রাখবে, দোজখের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
এ রাতে করনীয়ঃ-এ পুরো রজনী হল ক্ষমা প্রার্থনার জন্য এক উত্তম রাত্রী,যার ফজীলত হাজার রাতের ইবাদতের চেয়েও উত্তম।এ রাতে বান্ধা তার সকল পাপ কাজের ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য আল্লাহর আরশ উন্মুক্ত পাবে আর মহান আল্লাহ ও নিজেই ঘোষনা করে দিয়েছেন যে তিনি চাইতে থাকেন খুজতে থাকেন কে তাহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা চাচ্ছে।তাই আমাদের উচিত এই রাতে বেশী বেশী ইবাদত করা,নফল নামাজ পড়া, জিকির করা,কুরআন পাঠ করা।এই দিনে সূর্য অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহ পাকের নূর সর্বনিম্ন আকাশে অবতীর্ণ হয় এবং বলা হয়-কে আছ গুনাহ মাফ করাতে চাও?কে আছ তার মনের আকাংখা পূরণ করাতে চাও? কে আছ তার রুজী বৃদ্ধি করাতে চাও?কে আছ তার রোগ,শোক,দুঃখ কষ্ট দূর করাতে চাও?এরূপ ঘোষণার সময় যদি কোন বান্দা হাত তুলে মুনাজাত করে,তবে আল্লাহ আয যাওযাল তার মুনাজাত কবুল করে নেন।
মধ্য শাবানের নফল রোজা:-রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসে,তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত কর ও দিনে রোজা পালন কর। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। এ ছাড়া প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের নফল রোজা তো রয়েছেই, যা আদি পিতা হজরত আদম (আ.) পালন করেছিলেন এবং আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদও (সা.) পালন করতেন, যা মূলত সুন্নত। সুতরাং তিনটি রোজা রাখলেও শবে বরাতের রোজা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তা ছাড়া, মাসের প্রথম তারিখ, মধ্য তারিখ ও শেষ তারিখ নফল রোজা গুরুত্বপূর্ণ; শবে কদরের রোজা এর আওতায়ও পড়ে। সওমে দাউদি বা হজরত দাউদ (আ.)-এর পদ্ধতিতে এক দিন পর এক দিন রোজা পালন করলেও সর্বোপরি প্রতিটি বিজোড় তারিখ রোজা হয়; এবং শবে কদরের রোজার শামিল হয়ে যায়। সর্বোপরি রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের পর রজব ও শাবান মাসে বেশি নফল ইবাদত তথা নফল নামাজ ও নফল রোজা পালন করতেন;শাবান মাসে কখনো ১০টি নফল রোজা, কখনো ২০টি নফল রোজা, কখনো আরও বেশি রাখতেন। রজব ও শাবান মাসের নফল রোজা রমজান মাসের রোজার প্রস্তুতি।
রোজার মাসআলা:-হাদিস শরিফে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা শরিফে হিজরতের পরে দেখতে পেলেন মদিনার ইহুদিরাও আশুরার একটি রোজা পালন করেন। তখন তিনি সাহাবিদের বললেন,আগামী বছর থেকে আমরা আশুরার আগে বা পরে আরও একটি রোজা রাখব, ইনশা আল্লাহ! যাতে তাদের সঙ্গে মিল না হয়। তাই আশুরার রোজা অর্থাৎ মহররম মাসের দশম তারিখের রোজার সঙ্গে তার আগে বা পরে আরও একটি রোজা রাখা মোস্তাহাব। শবে বরাতসহ বছরের অন্য নফল রোজাগুলো একটি রাখতে বাধা নেই; বরং এক দিন পর এক দিন রোজা রাখা হজরত দাউদ (আ.)-এর সুন্নত বা তরিকা; যা নফল রোজার ক্ষেত্রে উত্তম বলে বিবেচিত এবং সওমে দাউদি নামে পরিচিত। অনুরূপভাবে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজাও আলাদা আলাদা বা একত্রেও রাখা যায়।
শবে বরাতের নামায এবং নিয়ম কানুনঃ-প্রকৃত অর্থে শবে বরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই, যেহেতু এই রাতটি ইবাদত বন্দেগী করে কাটাতে হবে তাই হাদিসেই এই সমাধান দেয়া হয়েছে। আর বিশ্ব মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন। হাদিসের আলোকে আমী সেগুলোর কথাই নিন্মে উল্লেখ করছিঃ
সন্ধ্যায়ঃ-এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত,ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দু রকাত করে মোট ৬ রকাত নফল নামায পড়া উত্তম।
এই ৬ রাকাত নফল নামাযের নিয়মঃ-প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু রকাত নামায শেষে করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা ইফলাছ শরীফ ২১ বার তিলায়াত করতে হবে।
শব-ই বরাত এর নফল নামাযঃ
১। দুই রকাত তহিয়াতুল অযুর নামায।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে আল হামদুলিল্লাহ ( সূরা ফাতিহা) পড়ার পর , ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ শরীফ ( সূরা এখলাছ) । ফযীলতঃ প্রতি ফোটা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে।
২। দুই রকাত নফল নামায।
নিয়মঃ ১নং নামাযের মত, প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ শরীফ, অতপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফযীলতঃ রুজিতে রবকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বখসিস পাওয়া যাবে।
৩। ৮ রকাত নফল নামায,দু রকাত করে পড়তে হবে।
নিয়মঃ-প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর,সূরা এখলাছ ৫ বার করে।একই নিয়মে বাকি সব।ফযীলতঃ-গুনাহ থেকে পাক হবে,দু’আ কবুল হবে এবং বেশী বেশী নেকী পাওয়া যাবে।
৪। ১২ রকাত নফল নামায , দু রকাত করে।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামায শেষ করে , ১০ বার কলমা তওহীদ, ১০ বার কলমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ।
৫। ১৪ রকাত নফল নামায, দু রকাত করে।
নিয়মঃপ্রতি রকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফযীলতঃ যে কোন দু’আ চাইলে তা কবুল হবে।
৬। চার রকাত নফল নামায, ১ সালামে পড়তে হবে।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফযীলতঃ গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ হতে ভুমিষ্ঠ হয়েছে।
৭। ৮ রকাত নফল নামায, ১ সালামে।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ শরীফ।
ফযীলতঃ
এর ফজিলতে সর্ম্পকে বর্ণিত আছে যে, হযরতে সৈয়্যদাতুনা ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহুমা এরশাদ করেছেন, “ আমি ঐ নামাজ আদায় কারীর সাফা’য়াত করা ব্যাতিত জান্নাতে কদম রাখবো না। রোযার ফযীলত হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে শাবানে ১ দিন রোযা রেখেছে, তাকে আমার সাফা’য়াত হবে। আরো একটি হাদীস শরীফে আছে যে, হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যাক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোযা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন ছোঁবে না।
এছাড়াও পড়তে পারেন ‘সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক অনেক ফযীলত রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।
“হে চাচা জান ! আপনি যদি পারেন, তবে দৈনিক একবার করে এই নামায পড়বেন। যদি দৈনিক না পারেন, তবে সপ্তাহে একবার পড়বেন। যদি সপ্তাহে না পারেন, তবে মাসে একবার পড়বেন। যদি মাসে না পারেন, তবে বছরে একবার পড়বেন। যদি এটাও না পারেন, তবে সারা জীবনে একবার হলেও এই নামায পড়বেন ( তবুও ছাড়বেন না)”।
সালাতুল তাজবীহ নামাজের নিয়মঃ
রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি বলেন, চাচা জান ! আপনি যদি পারেন, তবে দৈনিক একবার করে এই নামায পড়বেন। যদি দৈনিক না পারেন, তবে সপ্তাহে একবার পড়বেন। যদি সপ্তাহে না পারেন, তবে মাসে একবার পড়বেন। যদি মাসে না পারেন, তবে বছরে একবার পড়বেন। যদি এটাও না পারেন, তবে সারা জীবনে একবার হলেও এই নামায পড়বেন ।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়মঃ চার রকাত । প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, যে কোন সূরা পড়তে পারেন। তবে এই নামাযে বিশেষত্ব এই যে, প্রতি রকাতে ৭৫ বার করে, চার রকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হবে।
তাসবীহঃ سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
# ১ম রাকাত এ সানা পড়ার পরে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে
# তারপর স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা অথবা অন্তত তিন আয়াত পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# এরপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পরার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে
# এরপর রুকু হতে দাড়িয়ে গিয়ে “রাব্বানা লাকাল হামদ” পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# প্রথম সিজদা থেকে বসে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# এরপর আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# তারপর একই ভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে, ( সুরা ফাতিহা পড়ার আগে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে ।)
# অতপর ২য়রাকাত এর ২য় সিজদার পর “আত্তহিয়্যাতু…”, দরুদ আর দোয়া পড়ার পরে সালাম না ফিরিয়ে , ২য় রাকাত এর মতো ৩য় এবং ৪থ রাকাত একই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে (তাসবীহ টি ১৫ বার পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা পড়তে হবে) ।
মনে রাখতে হবে হুড়াহুড়ি করে উঠবস করে ১০০ রাকাত পড়ার চেয়ে আগ্রহের সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ রুকু-সিজদা করে দু’রাকাত পড়া অনেক ভালো। আর সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই নিজের জন্য, নিজের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সব মুসলিম জাতির জন্য বেশি বেশি দোয়া করবে, তাওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করা উচিৎ।
যে বিষয় গুলো অবশ্যই মেনে চলা উচিতঃ
আমরা ভুলো মনে কিংবা আবেগের বশবর্তি হয়ে অনেক সময় এ রাতের করনীয় থেকে তাতপর্যের প্রকৃত অর্থ থেকে দূরে সরে যাই। এটা মোটেই ঠিক না।। মাঝে মাঝে দেখা যায় আমাদের আম্মুরা আমাদের বোনেরা বাসায় হালুয়া-রুটি বানাতে ব্যস্ত থাকেন তা একেবারেই অনুচিত। বলা হয় শয়তানই এ রাতে মানুষকে ইবাদত থেকে দূরে রাখার জন্য মানুষকে এসব কাজে ব্যস্ত রাখে।অনুরূপভাবে মসজিদ-মাজারে খিচুড়ি-ফিরনি এসবও বাহুল্য।অনেক জায়গায় তো এসব নিয়ে শোরগোল-মারামারি পর্যন্ত হয়।
ইবাদতের রাত কেটে যায় হেলায়-অবহেলায়।আতশবাজি, তারাবাজি,বোমাবাজি ইত্যাদি যেন না হয় সেজন্য মা-বাবা,এলাকার মুরবি্ব ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষভাবে নজরদারি করতে হবে। এছাড়া ইবাদত করার আড়ালে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে কি-না সেদিকেও সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। হাদিসে কয়েক ধরনের লোকের কথা এসেছে। যারা এ রাতেও আল্লাহর করুণা ও দয়া থেকে বঞ্চিত। তাদের মধ্যে হিংসুক, মুশরিক, অন্যায়ভাবে হত্যাকারী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, মদ্যপায়ী, জাদুকর, চাঁদাবাজ, ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণী, সুদখোর ও অত্যাচারী সৈনিক অন্তর্ভুক্ত। অতএব, তাদের বেশি করে এ রাতে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং ভবিষ্যতে এসব পাপ আবার না করার দৃঢ়সংকল্প করা উচিত।
অনেকে শবেবরাতের পর দিন অর্থাৎ ১৫ শাবান রোজা রাখেন। এটি কেবল একটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, তাও দুর্বল। অতএব, তা শবেবরাতের উসিলায় নয়; বরং এমনিতে আরবি মাসের ১৫ তারিখ আইয়্যামে বীয উপলক্ষে রাখা যেতে পারে। সবশেষে কথা হলো, পাপমুক্ত হয়ে রমজান মাসকে স্বাগত জানানোই এ রাতের তাৎপর্য। অতএব এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে সারারাত ইবাদত ও প্রার্থনায় কাটাতে পারলে তা-ই হবে এ রাতের সঠিক মূল্যায়ন। আলোকসজ্জা, হালুয়া-রুটি আর আতশবাজির মেলা এ রাতের পবিত্রতায় আঘাত হানে।
গুনাহ মাফ পাওয়ার সহজ পথ:
বান্দার হক বা সৃষ্টির পাওনা পরিশোধ করে দিন; আত্মীয়স্বজনের হক আদায় করুন; মহান প্রভু আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন। পিতা-মাতার হক আদায় করুন; আল্লাহ আপনার প্রতি করুণা করবেন। সৃষ্টির প্রতি দয়াশীল হোন; আল্লাহ আপনার প্রতি দয়ালু হবেন। আপনি সবাইকে ক্ষমা করে দিন; নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন। খাঁটি তওবা করুন; তওবাকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন। বেশি বেশি ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করুন; আল্লাহ ইস্তিগফারকারীকে পছন্দ করেন। (বুখারি ও মুসলিম)।