নির্বাচনের মাত্র ১৪ দিন বাকি থাকতেই অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। টানা দশ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি জামায়াত জোটকে নিয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের প্রতি প্রত্যাশিত জনসমর্থন পাওয়া যাচ্ছে না । হতাশ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পরেছে বলে ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নির্বাচনী প্রচারণা দু-একটি পথসভার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে সারা দেশ ছেয়ে গেলেও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের তেমন কোনো পোস্টার চোখে পড়ছে না। মনোনয়ন সংগ্রহে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেলেও নির্বাচনী মাঠে ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় শরিক বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা অনেকটা নিরব।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করলেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের মতো পরিকল্পিত সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে দলটি।নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সাজানো হামলা ভাঙচূড়ের অপকৌশলের তথ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর সমালোচনার মুখে পড়ে কথিত ঐক্যফ্রন্ট। আন্তর্জাতিক মাধ্যমে লবিং, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার সাথে তারেক রহমান ও মোশারফ হোসেনের কথোপকথন সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে সচেতন সমাজের সমর্থন হারায় দলটি।
ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব নিয়েও দ্বিধা-দন্দে বিএনপির নেতাকর্মীরা । বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার যেকোনো আদেশকে শেষ কথা বলে মান্য করে। দূর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকায় এবার নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেননি জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য। নির্বাচনী প্রচারণায় খালেদা জিয়ার উপস্থিতি মানেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক জনসমাগম। সেই খালেদা জিয়া নির্বাচন থেকে ছিটকে যাওয়ায় সেনাপতি বিহীন বাহিনীর মতো ছন্নছাড়া বিএনপি। সেনাপতির ভূমিকায় কখনো তারেক রহমান কখনো ড. কামাল কখনো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর! অভিভাবকহীন সন্তানের মতো বিএনপির নেতাকর্মীরা নানা বিতর্ক মাথায় নিয়ে মাঠে দাড়াতেই পারেনি।
মনোনয়ন বানিজ্য, কর্মী অসন্তোষ, দলীয় অন্তর্কোন্দল, বিদ্রোহী প্রার্থী দ্বারা কোণঠাসা বিএনপি পথসভা, উঠান বৈঠক ছাড়া আর কোনোভাবেই সুবিধা করতে পাচ্ছে না।
বিএনপির জামায়াতে ইসলামকে সঙ্গী করার ঐক্যফ্রন্ট প্রায়শ্চিত্তে ভুগছে বলে মুখ খুলছেন ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতারা। জামায়াতকে সাথে নিয়ে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের শ্রদ্ধা জানাতে গেলে গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয় । জামায়াত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে ড. কামাল হোসেনের হুমকি ঐক্যফ্রন্টকে চাপের মুখে ফেলে দেয়। দল ও দলের বাইরে প্রচুর সমালোচনায় কোনঠাসা ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল করছে বলে মনে করা হচ্ছে যা আজকের সংবাদ সম্মেলনে আভাস পাওয়া যায়।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.