নিউজ ডেস্কঃ- রাজশাহীতে সমাবেশের আগেই বড় ধাক্কা খেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত সমাবেশে ছিলেন না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসুস্থতার কারণে রাজশাহীর সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না এই ঐক্যফ্রন্ট নেতা। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে, সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় প্রাণের মায়ায় জামায়াতের শক্ত ঘাঁটিখ্যাত রাজশাহীর সমাবেশে যোগ দেননি কামাল।
সুত্রমতে, সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে মতানৈক্য, গণফোরাম নেতাকর্মীদের গুরুত্ব না দেয়ায় মনোক্ষুন্ন ড. কামাল হোসেন সমাবেশে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া গুঞ্জন উঠেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও লন্ডনে পলাতক গ্রেনেড হামলার মূল আসামি তারেক রহমান বিদেশি কিলারদের দিয়ে ড. কামালকে হত্যা করার যে পরিকল্পনা করেছিলেন সেটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে সমাবেশ থেকে সরে যান ড. কামাল।
গণফোরাম সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর সমাবেশের প্রস্তুতিতে রাজশাহী জেলা গণফোরামের কাউকে গুরুত্ব না দেওয়ায় প্রথম থেকেই ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন ড. কামাল হোসেন। এ নিয়ে তিনি ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মির্জা ফখরুল রাজশাহীর স্থানীয় বিএনপি নেতা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিলেও প্রস্তুতি নিয়ে দুই বিএনপি নেতার মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। সমাবেশ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মিনু ও বুলবুলের দ্বন্দ্বে আরো অবহেলায় পড়েন ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহীর নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম রাজশাহীর সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামসহ গণফোরাম ও নাগরিক ঐক্যের অন্যান্য নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র পরিবর্তন করে মির্জা ফখরুলকে মনোনীত করায় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এই বিষয়ে রাজশাহী গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী পেয়ারা জানান, আমরাও জেনেছি কামাল স্যার আসছেন না। তবে কেন আসছেন না, তা বলতে পারব না। সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে মনোমালিন্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যা শোনা যায় তার সব সত্য হয় না। আবার মিথ্যাও হয় না।
এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে রাজি হননি রাজশাহী গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম।
এদিকে অপরএকটি সুত্র নিশ্চিত করেছে যে, ৬ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হত্যা মিশনের তথ্য ফাঁস হওয়ায় অনেকটা আতঙ্কিত ছিলেন ড. কামাল। তবে গত ৬ নভেম্বরের সমাবেশ ঢাকায় হওয়ায় সে সমাবেশে অংশ নেন ড. কামাল। কিন্তু রাজশাহীতে সেই ঝুঁকি নিতে চাননি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়া অভ্যাসের এই ড. কামাল।