বান্দরবান অফিসঃ-মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। বিএনপির দৌড় মিথ্যাচার পর্যন্ত। আজ বিএনপির ভারত বিরোধীতার সকল মুখোশ উম্মোচন করে তাদের পা চাটা গোলামির আসল চেহারা প্রকাশ করা হবে। তথ্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে এই সত্য সবার সামনে পেশ করা হবে।
সীমান্ত রক্ষায় আওয়ামী লীগ
সীমান্তে বাংলাদেশের অধিকার বুঝে পেতে এবং সার্বিক নিরাপত্তা কায়েম রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিএসএফ নগ্ন হামলা চালিয়েছিল বড়াইবাড়ি গ্রামে। হামলার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিল বিডিআর। ৩ জন বীর বিডিআর সৈনিক শাহাদাতবরণ করেছিলেন দেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে। এই ঘটনায় বিডিআর সৈনিকদের পুরস্কৃত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সীমান্ত রক্ষায় বিএনপি
বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান যিনি একই সাথে আওয়ামী লীগ আমলে ভারত ও মিয়ানমার এর সাথে সীমান্ত সংঘর্ষে তাদেরকে হারিয়ে প্রমাণ করেছিলেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব, ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর বিএনপি ক্ষমতায় এসেই তাকে চাকুরীচ্যুত করে।
২০০৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়া যুদ্ধের পুরস্কার হিসেবে বিডিআরের ২ জনকে বাংলাদেশ রাইফেলস পদক ৩ জনকে প্রেসিডেন্ট রাইফেলস পদক খেতাবে ভূষিত করেন যা বিডিআর এর সর্বোচ্চ সম্মান পদক এবং ৮ জন কে ডিজি’র কমেনডেশন মেডেল প্রদান করেন। এই হলো বিএনপির আসল রুপ।
ফেন্সিডিল ব্যবসা বিএনপি আমলেই
বাংলাদেশে মরন নেশা হেরোইনের প্রবেশ ঘটে এরশাদ সরকারের সময়। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেই হেরোইন সেবনে কঠোর আইন পাশ করেন। কিন্তু অন্যদিকে ভারত সরকারের সাথে গোপন চুক্তি করে বাংলাদেশে ফেন্সিডিলের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করেন। খালেদা জিয়া তার শাসনামলের প্রায় পুরোটা সময়ই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ফেন্সিডিল প্রবেশের জন্য প্রায় উন্মুক্ত করে রাখেন। ২০০৬ সাল থেকে বিএনপি ক্ষমতায় নাই। আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশে এখন ফেন্সিডিল দুষ্প্রাপ্য।
ভারতীয় পণ্য আমদানি বিএনপির আমলেই বেশী
১৯৯১ সালের শেষের দিকে ক্ষমতায় বিএনপি। পরের বছরে ভারত থেকে পণ্য আমদানির পরিমান ছিল ২৬০ মিলিয়ন ডলার। ১৯৯৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার সময় আমদানির অঙ্ক প্রথমবারের মত চার অংকে গিয়ে দাড়ায় ১১১৮ মিলিয়ন ডলারে। ৫ বছরে ভারতীয় পণ্য আমদানি বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। অপরদিকে আওয়ামী লীগের ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছর ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানি করে, যা বিএনপির আমদানিকৃত অঙ্কের চেয়েও ৩২৩ মিলিয়ন ডলার কম।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসাব
বিএনপির নিয়োগ করা সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস বলেন, “ বাংলাদেশ শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে গত নয় বছরে ভারতের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। গত নয় বছরে দুই দেশ যেসব বিষয়ে চুক্তি করেছে, সেটি একটি সময়ে অনেকে ভাবতেও পারেননি। ছিটমহল বিনিময়, সমুদ্রসীমা বিজয় ছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৯৮% পণ্য ভারতে বিনা শুল্কে প্রবেশের অধিকার লাভ করেছে”।
ভারতের সাথে তারেক জিয়ার জমজমাট ব্যবসা
২০০১ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়ার আগে পরিবেশবান্ধব তিনচাকার যান আমদানির নীতিমালা তৈরী করে। ভারত, চীন এবং থাইল্যান্ড থেকে সর্বনিম্ন দরদাতার মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সকল নিয়ম উপেক্ষা করে ভারত থেকে ১০ হাজার সিএনজি এবং ৩০ হাজার কালো ট্যাক্সি আমদানি করেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী আসাদুর রহমান স্বীকার করেন যে, তারেক রহমানের নির্দেশেই ট্যাক্সি এবং সিএনজি আমদানি করা হয়েছিল। তারেক রহমানকে প্রতিটি সিএনজির জন্য চার লাখ টাকা দিলে হাওয়া ভবন থেকে স্লিপ আসত, ওই স্লিপ পাওয়ার পরই বিআরটিএ রুট পারমিট সহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র দিত। প্রথম দফায় তারেক ১০ হাজার সিএনজির বিপরীতে ৪০০ কোটি টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হন। আর ৩০ হাজার কালো ট্যাক্সি আনিয়ে তিনি পান আরও ৬০০ কোটি টাকা। ঢাকার রাস্তায় সিএনজি এখনো আছে কিন্তু কালো ট্যাক্সি নিখোঁজ হয়ে গেছে। যারা লাভের আশায় বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে কালো ট্যাক্সি কিনেছিল তারা অনেকেই পথে বসেছে।