ছোট হলেও বিএনপি নিয়ন্ত্রিত ২০ দলীয় জোটের অন্যতম দল বাংলাদেশ লেবার পার্টি মূলত দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি অংশ রয়েছে বিএনপি জোটের সঙ্গে, অপর অংশ বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্টে। তবে ভেঙে দুই ভাগ হওয়ায় দুই অংশই পাত্তা পায়নি জোট-শরিক বড় দলের কাছে। এতে দুই অংশের নেতাকর্মীরাই রয়েছেন অস্বস্তিতে। মাঠের রাজনীতিতে একেবারেই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে লেবার পার্টির বিভক্ত দুটি অংশই।
ভাঙনের ফলে হাতেগোনা নেতাকর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। নেই কোনো কর্মসূচি। বড় দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে থাকলেও জোটের কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ থাকে না তেমন। ফলে লেবার পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যেও রয়েছে অস্বস্তি।
অন্যদিকে নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে আলোচনায় আসলেও রাজনীতির মাঠে যুক্তফ্রন্ট নেই বললেই চলে। তাই দলটির দুই অংশের নেতারা পুরোপুরি গুরুত্ব হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
লেবার পার্টির ভাঙনের পেছনে বিএনপির ইন্ধন আছে- এমন অভিযোগ করে দলটির একজন নেতা বলেন, আমি লেবার পার্টি করি ২০০০ সাল থেকে। মহাসচিব সময় দিতে পারেন না বলেই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। আজকে লেবার পার্টির এই ভাঙনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে। মূলত শরিক দলের উপরে নিজেরদের গা ছাড়া মনোভাব এবং নেতাদের বিএনপির কোন্দলে শরিক করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এমন অপকৌশলে দলের অবস্থা বিগড়ে গেছে।
লেবার পার্টির বেশিরভাগ নেতাই বলছেন, একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে নেতাদের ব্যবহার করতে গিয়ে দলের বারোটা বাজিয়েছেন। কে কি বললো তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমার অবজারভেশন এরকম। যা একেবারে ঠিক। খোঁজ নিয়ে দেখেন, লেবার পার্টির ভাঙনের পুরো কৃতিত্ব বিএনপির।
লেবার পার্টির নেতারা মনে করেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মতো একটি প্লাটফর্মে দাঁড়াতে গিয়ে আসলে তারা ধ্বসে পড়েছে। নেতারা অন্ধের মতো ছুটছেন। যা নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি হয়। লেবার পার্টির ভাঙনে তারা সুবিধা করতে পেরেছে তা নয়, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মাঝখান থেকে দলের অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়েছে।