স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতিবাচক ভূমিকার জন্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারী দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ক্ষমা চেয়েছেন। এমনকি ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকার জন্য দলকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি। এমন প্রেক্ষাপটে জাতির কাছে জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। যদিও ক্ষমা চাওয়াকে যথেষ্ট মাসুল মনে করছেন না তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে ড. কামাল এ কথা বলেন। জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ের আলোচনাকে কীভাবে দেখছেন, তা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়টিকে আমি স্বাগত জানাই।’
ক্ষমা চাওয়াকে যথেষ্ট মনে করছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. কামাল বলেন, আমি মনে করি না এই ক্ষমা চাওয়াই তাদের জন্য যথেষ্ট। কেননা, মাত্র একজন নেতা ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। তাদের ক্ষমা চাওয়া হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে সব কিছু মাফ হয়ে যাবে না।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াত নিষিদ্ধ করার বিষয়ে যখন জোর আলোচনা হচ্ছে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াত যখন নাম পরিবর্তন করে নতুন নামে রাজনীতি শুরু করার চিন্তা করছে, তখন ব্যারিস্টার রাজ্জাকের মতো জ্যেষ্ঠ নেতার পদত্যাগের খবর এলো। ব্যারিস্টার রাজ্জাক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতাদের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন।