চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১৫ মে) ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
জানা যাচ্ছে, চিকিৎসার আড়ালে ব্যাংকক থেকে তিন দিনের সফরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের তলবে লন্ডন যাবেন মির্জা ফখরুল। সেখানে ঈদের পূর্বে বেগম জিয়ার মুক্তি, জোটের ভাঙন রোধে করণীয়, ঈদের পর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন তিনি। একাধিক গোপন সূত্রের বরাতে ফখরুলের গোপন লন্ডন সফরের বিষয়টি জানা গেছে।
একটি সূত্র বলছে, বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলন, জোটের ভাঙন রোধ, বগুড়ার উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ একাধিক ইস্যুতে বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে দলে। কোনো ভাবেই কর্মীদের মাঠে নামাতে পারছে না দল। তাই বিদেশি ও দাতাদের চাপ সামাল দিতে ঈদের পর আন্দোলনের কথা বলেছে বিএনপি। দল এভাবে খোঁড়াতে খোঁড়াতে চললে আগামীতে রাজনীতি করা কষ্টকর হয়ে পড়বে বিএনপির জন্য। এছাড়া কিছু কুচক্রী মহলের কারণে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলে চাপের মধ্যে রয়েছে বিএনপি। সব মিলিয়ে রাজনীতিতে ব্যাকফুটে চলে গেছে বিএনপি। তাই সকল ধরণের বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে নতুন পরিকল্পনা শেয়ার করতে ব্যাংকক থেকে লন্ডনে যাবেন মির্জা ফখরুল।
আরেকটি সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় কাউন্সিল, স্থায়ী ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির নতুন সদস্যদের নামের তালিকা তৈরি করা হবে লন্ডনে বসে। মোটকথা, বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল। এছাড়া সংরক্ষিত আসনে কোন নেত্রীকে মনোনয়ন দেয়া হবে, আর কাকে মনোনয়ন দেয়া যাবে না- সেটি নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব ও দলাদলির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ওই বৈঠকে।
তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, দল ভাঙতে বিএনপির যে ক‘জন নেতা গোপনে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আঁতাত করছেন তাদেরকে অচিরেই যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেহেতু দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাই এই সফরে ব্যাংককের কথা বলেই দেশ ছেড়েছেন মির্জা ফখরুল, এমন নানাবিধ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে।