বান্দরবান অফিসঃ-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সোহরাওয়ার্দীতে প্রধানমন্ত্রীর নামটিও উচ্চারণ করা হয়েছে অশালীনভাবে। কী কারণে যন্ত্রণা আমি এটা ভাল করে জানি। লেখালিখি তো লিখছেন, আবার আজকে এক হাত নিলেন। এগুলো কেউ ভালো চোখে দেখে না, ভালোভাবে নেয় না। তাদের আমি বলব, যৌক্তিকভাবে কথা বলতে। ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে গেলে এটা কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে না।’
মঙ্গলবার রাতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তবে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের যে জনসভা, সেখানে যে রকম ‘ভালগারিজম অবসটিন্যাসি’ এটা আবার নতুন করে বাংলাদেশের পলিটিক্সে দেখলাম। দেখলাম যে মানুষের হতাশা যখন বেড়ে যায় তখন মানুষ বেপরোয়া হয়ে যায়। অনেকে নেতার বক্তব্যে এটাই মনে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বড় বড় কথা বলেন যেমন হঠাৎ করে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী যখন মুসলমান হয় তখন নামাজ কালাম বেশি পড়ে এবং গরুর মাংস একটু বেশি খায়। এরকম দু্ই একজনকে দেখলাম খুবই তাফালিং করছে। আমি পরিবহনের ডিল করি তো ওরা তাফালিং একটা শব্দ ব্যবহার করে। ওরা (সোহরাওয়ার্দী জনসভা) আবার ভদ্রমূর্তি ধারণ করে।’
‘এরকম নোংরা ভাষা কি দেশের মানুষ পছন্দ করে? আসুন আন্দোলন করুন, আপনাদের আন্দোলনের নামে রাস্তায় নাশকতা করবেন, সহিংসতা করবেন, আর আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবো এটা যেন মনে না হয়।’
আরেক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন কোনো সরকার নেই। যে সরকার আছে সেই সরকারই। আর টেকনোক্র্যাটদের তো বাদই দেওয়া হয়েছে।’
ঐক্যফ্রন্টের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বাকি আছে বলে বুধবার সংলাপে কী কোনো সমঝোতা হবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা যে বলছেন বাকি আছে, কি বাকি আছে সেটা জানতে চাই কালকে।’
সংলাপে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আটটি দলের ১৬ প্রতিনিধি অংশ নেন। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।