দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে বিএনপির রাজনীতিতে। জানা গেছে, খালেদার মুক্তি ও চিকিৎসার ব্যাপারে কারো ভিন্নমত না থাকলেও আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করার কথা নীতিনির্ধারকদের চিন্তায় নেই। দলের একটি অংশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় তবে অপর একটি অংশ সমঝোতায় মুক্তি–প্রক্রিয়ায় একমত নয়।
বিএনপি নেতাদের দ্বিমতের এই রাজনীতিতে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিভক্ত বিএনপির এমন অবস্থায় লাভবান হচ্ছে বিরোধী দল বলেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তারা। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এমনটাই জানা গেছে।
এই বিষয়ে দলটির সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বাংলা নিউজ ব্যাংক’কে বলেন, পরিস্থিতি যেদিকে এগুচ্ছে তাতে আত্মসমর্পণ করার বিকল্প আর দেখছি না। কারণ দলের সাংগঠনিক বাস্তবতায় ক্ষমতাসীনদের ম্যাডাম জিয়ার মুক্তিতে বাধ্য করানোর ব্যাপারটি অনেকটাই কাল্পনিক। সেই হিসেবে খালেদা জিয়াকে দ্রুত কারামুক্ত করার পক্ষে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের একটি অংশ। তবে সমঝোতার বিপক্ষেও মত রয়েছে। সেটি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। আশা করি বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে ঐক্যমত্যের একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারব আমরা।
বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বে দলটির ভেতর হতাশা বাড়বে বলে মনে করছেন দলটির আরেক সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা চাই বেগম জিয়া কারামুক্ত হয়ে দলের নেতৃত্ব দিন। কিন্তু তার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায়, আন্দোলনের মাধ্যমে নাকি সরকারের সঙ্গে কোনো ধরণের সমঝোতা করে, তা নিয়ে নেতাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে দলের ভেতর অবস্থান শক্ত করতে যে যার মতো বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে দলে সাময়িক প্রভাব বাড়লেও রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিএনপি ও বেগম জিয়া।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির যে সাংগঠনিক অবস্থা, তাতে আন্দোলন করে দলীয় প্রধানকে মুক্ত করার কথা দলের নীতিনির্ধারকদের চিন্তায় নেই। সমঝোতা করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে করতে চাচ্ছে দলের একটি অংশ। তার বিনিময়ে বিএনপির সাংসদেরা জাতীয় সংসদে যোগদান করতেও রাজি হয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে লন্ডন থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের অনুকম্পা নিয়ে নেত্রীকে মুক্ত করা হবে অসম্মানের। এতে দল ও নেত্রীর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও এ বিষয়ে এই দুই চিন্তার নেতাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি। আমিও ব্যক্তিগতভাবে বেগম জিয়ার মুক্তি চাই। তবে কারো দয়ায় নয় বরং সাংগঠনিক শক্তি প্রয়োগ করে সরকারকে বাধ্য করতে হবে ম্যাডামকে মুক্তি দিতে। দল ও নেত্রীকে অসম্মান করে আমরা বিজয় চাই না।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.