জনগণকে জিম্মি করে,জানমালের ক্ষতি সাধন করে বিএনপি নেতারা তাদের অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য কাজকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে পুনরায় জনগণকে জিম্মি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাই বিএনপির এই অবৈধ ও অনৈতিক আন্দোলনকে জনগণ কখনই সমর্থন দিবে না বলে মনে করছেন রাজনীতি সচেতন নাগরিকরা।
অন্যদিকে তথ্যসূত্র বলছে, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাইকোর্টের সামনে সড়ক অবরোধ করে এবং দায়িত্বরত পুলিশের উপর চড়াও হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। তখন আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মানুষ দিশেহারা হয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে। যদিও বিএনপি নেতাদের এই বিতর্কিত ও হয়রানিমূলক কর্মসূচিকে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার হিসেবে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। বিএনপির হিংসাত্মক আন্দোলনকে তিনি রাজনৈতিক অধিকারের নাম দিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি পাঁয়তারা করেছেন বলেও নিন্দা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এদিকে বিএনপি নেতা নোমানের এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আইনি প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়ে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে বিএনপি নেতারা জেনেশুনে আদালত এলাকায় হিংসাত্মক কর্মসূচি পালন করেছেন। এছাড়া জনগণ তাদের অনৈতিক কর্মসূচিতে সমর্থন না করায় ক্ষোভ থেকে দলটির নেতারা গাড়ি ভাংচুর করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আদালতে পরাজিত হওয়ায় এখন রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বিএনপি যেটিকে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার হিসেবে দাবি করছে তা জনবিরোধী। জনগণকে জিম্মি করে বিএনপি যা করছে তা দলটির ইমেজ নষ্ট করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, বেগম জিয়ার মুক্তিতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টিতে বিএনপি এখন থেকে এমন চোরাগোপ্তা মিছিল, হামলা ও প্রতিরোধ করবে। সাংগঠনিক দুর্বলতায় বিএনপি দেশের বিভিন্ন জায়গায় গেরিলা ধাঁচে এসব প্রতিরোধ কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানা গেছে।