বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই অভিযোগ করেন। এদিকে বেগম জিয়ার অসুস্থতা, দীর্ঘ কারাজীবন, ভঙ্গুর দশা ও রাজনৈতিক ব্যর্থতার জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের দায়ী করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বেগম জিয়া দলীয় অপকর্মের শাস্তি ভোগ করছেন এবং বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ বিএনপি এখন দায় এড়াতে সরকারকে দোষারোপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন তারা।
বেগম জিয়ার দুরবস্থা এবং রাজনৈতিক অধঃপতনের জন্য বিএনপি নেতারা দায়ী বলে অভিযোগ করে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, বেগম জিয়াকে বিএনপির পাপাচারের জন্য জেল খাটতে হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের পাপের বোঝা কাঁধে নিয়ে একাই পাপ মোচনের জন্য কারাবাস ভোগ করতে হচ্ছে বেগম জিয়াকে।
তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে না পারার ব্যর্থতা বিএনপির। বিএনপির ব্যর্থতার সুযোগ নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা, এটাই চরম বাস্তবতা। নিয়ম হলো বিরোধী দলের নেতা জেল-জুলমের শিকার হলে আন্দোলন সংগ্রাম করে তাকে মুক্ত করবে তার দল। কিন্তু বিএনপি বেগম জিয়ার মুক্তিতে আদালত ও রাজপথে পরাজিত হয়ে এখন সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এটি তো পরাজিত রাজনীতির লক্ষণ। বেগম জিয়ার কিছু হলে সরকার নয় বরং বিএনপিকে দায়ী হতে হবে।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে। শুনতে খারাপ লাগলেও এটি সত্য যে, আমরা আদালত ও রাজপথ- এ দুই জায়গাতেই পরাজিত হয়েছি। এই পরাজয়ে কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যর্থতার দায় কারো নয়। বিএনপি নেতাদের উদাসীনতা ও আন্দোলনে অনীহার কারণে ম্যাডামের কারাবরণ আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। কারণ, আমরা আন্দোলন-সংগ্রামে ক্রমাগতভাবে ব্যর্থ হচ্ছি।