জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে দুই বার ঢুকতে হয়েছে বান্দরবান সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে, তারপর থেকে অসুস্থতা। সম্ভাব্য সংক্রমণ এড়াতে হয়ে গেছেন জনবিচ্ছিন্ন। শারীরিকভাবে দুর্বলতা ও অসুস্থ বোধ করলে গত ১১দিন ধরে নিজ বাড়ীতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হোম আইসোলেশনে অবস্থান করছেন বান্দরবান পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌরভ দাশ শেখর।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এমন ধারণা থেকে নমুনা দেবার এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনো রিপোর্ট পাননি তিনি,তাই তিনি নিজের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘ কক্সবাজার কি লন্ডন থেকেও দূরে? কারণ লন্ডন থেকে রিপোর্ট আসতে এতদিন লাগার কথা নয়। না কক্সবাজার ল্যাবে যারা কাজ করে তারা বান্দরবানের মানুষগুলোকে অবজ্ঞা অবহেলার চোখে দেখছে। আবার বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কারো কারো রিপোর্ট অতি দ্রুততার সহিত চলে আসতে দেখা যাচ্ছে। ১১ দিন হতে চলল আজ নিজেকে পরিবার-পরিজন ও আমার ওয়ার্ডের সকল মানুষের কাছ থেকে আলাদা করে রেখেছি। সবার আশীর্বাদ /দোয়া কামনা করছি। সবাই সুস্থ থাকুন। নিরাপদে থাকুন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর সৌরভ দাশ শেখর জানান, “ বান্দরবান সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনের কিছু সমস্যার দেখার জন্যে বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শনে যেতে হয়েছে আমাকে। দুইবার হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড পরিদর্শনের পর সর্দি, কাশি, জ্বর দেখা দেই এরপরপরই করোনা সন্দেহে নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা শুরু করি। এরপর আজ ৩ জুন (বুধবার) পর্যন্ত ১১দিন ধরে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করছি। নমুনা দেওয়া হলেও কক্সবাজার থেকে এখনো রিপোর্ট আসছে না। এর মধ্যে অসুস্থতা কিছুটা কমলেও রিপোর্ট না আসায় পরিবার-পরিজনসহ সবাই দুশ্চিন্তায় আছে।
কাউন্সিলর সৌরভ দাশ শেখর আরো বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শে বান্দরবান সদরের নোয়াপাড়ায় নিজ বাড়িতে থেকে এন্টিবায়োটিক, ইনহেলার এবং অন্যান্য চিকিৎসা নিচ্ছি। আগে থেকেই হার্টেও কিছুটা সমস্যা রয়েছে আমার আর তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক জীবনযাপন করছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা:অংসুই প্রু মারমা বলেন,বান্দরবান থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজারের ল্যাবে পাঠানো হয় ,কিন্তু এইখানে প্রতিদিন অসংখ্য নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ,এতে আমাদের রোগীদের রির্পোট আসতে ৭দিন লেগে যায়। কক্সবাজারের ল্যাব থেকে দ্রুত রির্পোট আসলে আমরা ও করোনার রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে পারতাম এবং তাদের জরুরী চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম হতাম।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.