ক্যাসিনো ইস্যুতে বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মীর নাম আসা সহ চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির চুপ থাকার বিষয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করছে ২০ দলীয় জোটের শরিকরা। এছাড়া ২০ দলীয় জোট ছাড়ারও হুমকি দিয়েছে একাধিক শরিক দল। সব কিছুর পরও বিএনপি ছাড়া ২০ দলীয় জোটের দলগুলোর আলাদা কোনো অস্তিত্ব নেই বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। মূলত অভিমান ও সঠিক মূল্যায়নের অভাবে ক্ষোভ থেকেই ২০ দলীয় জোটের নেতারা জোট ছাড়ার মিথ্যা হুমকি দিয়েছেন বলেও মনে করেন তারা।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে জোট ভাঙার বিষয়ে ছোট ছোট দলগুলোর মনোভাব সম্পর্কে জানা গেছে।
দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রয়োজনেই ২০ দলীয় জোট টিকে থাকবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান। দলটির সংস্কারপন্থী এই নেতা বলেন, বিএনপি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল। সুতরাং বিএনপির সঙ্গে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে বলে ২০ দলীয় জোটের ছোট ছোট দলের নেতারা সম্মানিত বোধ করছে। বিএনপি প্রথমে ৪ দলীয় জোটে ছিলো। পরবর্তীতে ছোট ছোট দলগুলোর অনুরোধের কারণে জোটের পরিধি বড় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির সঙ্গে থাকার কারণেই অনেক দলের নেতারা সংসদে ঢোকার সৌভাগ্য পেয়েছে। এখন বিএনপি বিপদে পড়ায় তারা রং পাল্টাতে শুরু করেছেন। বিএনপির প্রয়োজনে নয় বরং অন্যান্য দলগুলোর টিকে থাকার প্রয়োজনেই ২০ দলীয় জোটের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কাউকে জোটে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়নি। সুতরাং ইচ্ছা হলেই যে কেউ জোট ছেড়ে বের হতে পারে তাতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই, ক্ষতিও হবে না।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পার্থের দল ছাড়ার পর কর্নেল অলি-ইরান অথবা এলডিপির যেসব নেতা জোট ছাড়ার পাঁয়তারা করছেন তাদেরকে আমি এক কথায় দুধের মাছি বলবো। জোটের রাজনীতির কারণে ছোট ছোট এই দলগুলোকে দেশের মানুষ চিনতো। জোট থেকে বের হলে এদের কোনো দামই থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, ২০ দলের অভ্যন্তরে যারা অপরাজনীতি করার চেষ্টা করছেন তারা সম্ভবত বিএনপির ক্ষমতা ও শক্তি সম্পর্কে অবগত নন। জোট ভাঙার কোনো পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। অথচ অবিশ্বাস, অনাস্থার মতো নানা মিথ্যাচার ছড়িয়ে কর্নেল অলি-ইরানের নেতৃত্বে কিছু কুচক্রী মহল জোটকে ভাঙার অপচেষ্টা করছে। বৃহত্তর জোটের স্বার্থ বিবেচনায় কুচক্রীদের অচিরেই প্রতিহত করা হবে।