নিউজ ডেস্কঃ-বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন গোলাম মাওলা রনি। গণমাধ্যমগুলোর সূত্র ধরে এ সংবাদ ইতোমধ্যে জেনেছেন সকলেই। মূলত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েই বিএনপিতে গেলেন তিনি। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের কাছে পাত্তা না পেয়েই তার এ দলবদল।
রনির এ ‘জার্সিবদল’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক হাস্যরস। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্যাপক সমালোচিত, দুর্নীতিবাজ রনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন প্রাণপনে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই ভুলের পথে পা বাড়ায়নি। ‘মনোনয়ন পাচ্ছেন না’ এমনটি নিশ্চিত হবার পরেই বিএনপিতে গেলেন তিনি। রাজনীতি সচেতনেরা এখানে রনির ‘স্বার্থ’ আদায়ের চেষ্টা ছাড়া কিছুই দেখছেন না।
তবে এ দলবদলে আরো অনেককিছু দেখছেন বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পটুয়াখালী বিএনপির তৃনমূলের এক নেতা জানান, ‘তারেককে বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়েই বিতর্কিত রনি বিএনপিতে ভিড়েছেন। এরই মধ্যে নিয়েছেন মনোনয়নপত্র’।
পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি। এবার তিনি এ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। উল্লেখিত আসনে দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির মনোনয়নের দাবিদার হাসান মামুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। হাসান মামুন এবারও বিএনপির মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্র নেন। বিএনপিতে রনির ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’কে তিনি দলের চরম অবনমন হিসেবে দেখছেন। মামুনের অনুসারীরা ইতোমধ্যে রনিকে প্রতিহতের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
হাসান মামুনের অনুগত এক কর্মী জানান, আওয়ামী লীগ যাদেরকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়, তাদেরকেই সাদরে বরণ করে বিএনপি। আবার এসব নিয়ে উল্লাসও করে কিছু নেতাকর্মী। লন্ডনে তারেক জিয়ার কাছে টাকা পাঠালেই যে কেউ মনোনয়ন পায়। আমাদের এখন লজ্জা লাগে বিএনপি কর্মী বলে নিজেদের পরিচয় দিতে। এত বছর মিছিল-মিটিং আমরা করলাম, আর রনি এসে মনোনয়ন নিবে! এসব আর হতে দেয়া যাবেনা। এই এলাকায় রনিকে প্রতিহত করা হবে।’