ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল আয়োজিত মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা,প্রফেসর ড.এ এফ ইমাম আলী।তিনি বর্তমানে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।উল্লেখ্য,প্রফেসর ড.এ এফ ইমাম আলি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী,শ্রেণি,বর্ণ,ধর্ম, সামাজিক ও জাতীয় সংহতির সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে সমাজবিজ্ঞানকে যিনি সমৃদ্ধ করেছেন,৬২টির বেশি আন্তর্জাতিক গবেষণা ও অনেক মূল্যবান গ্রন্থের রচয়িতা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাজবিজ্ঞানের পথিকৃৎ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক দুইবার গোল্ডেন রেকর্ড অ্যাসিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান তিনি।
মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. এ এফ ইমাম আলি বলেন,আমি মনে করি এই পুরস্কার সমগ্র বাঙালি জাতির।দূরদর্শিতার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ না করলে কখনোই সফলতা আসে না।শিক্ষা ছাড়া যেমন কোনো জাতিই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না,তেমনি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা পুরো জাতিকেই সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়।
তিনি বলেন, দেশ বিভাজনের অব্যবহিত পরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড ছাড়া বাঙালির সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি সম্ভব নয়। তাই বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের লক্ষ্যে ধাপে ধাপে সব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করেই বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করেন।যার চূড়ান্ত পরিণতি ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল সমৃদ্ধ অর্থনীতির একটি সাম্য ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার সুখী, সুন্দর সোনার বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন,শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই সুদৃঢ় লক্ষ্য নিয়েই সুখী,সমৃদ্ধ অর্থনীতির অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।যার ফলে আজকের এই বাংলাদেশ।