বান্দরবানে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি এ.কে.এম জাহাঙ্গীর,সহসভাপতি দিপ্তী কনা বড়ুয়া,জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ,পৌর আওয়ামীলীগ এর সভাপতি অমল কান্তি দাশ সহ জেলা ছাত্রলীগ,যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ,মহিলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তারা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে ১৯৭২ সালের এই দিনে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন।এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’-এর ৫০ বছর পূর্তি।১০ জানুয়ারি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি বিশেষ মাইলফলক।১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার মানুষকে নতুন করে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে।ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাঙালি জাতি।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ খ্যাত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের কালজয়ী নির্দেশনা ও আহ্বান এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি।আলোচনা সভার শেষ পর্যায়ে জেলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন।