স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এদেশের টিকাদান কর্মসূচি, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি সারা বিশ্বে প্রশংসিত। দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে অধিকতর আধুনিক ও সুলভ করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (০৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিল্লার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
যেকোনো দুর্যোগ পরবর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায়ও দেশের স্বাস্থ্যখাত সম্পূর্ণ প্রস্তুত উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ পোলিও ও ধনুষ্টংকার মুক্ত, যক্ষ্মা, কলেরা, ডায়রিয়াও নিয়ন্ত্রণে রেখেছে সরকার। কিন্তু অসংক্রামক রোগের বিস্তার বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, অসংক্রামক রোগের বিস্তারের কারণে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নেও সরকার উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সরকার স্বাস্থ্যখাতের সুযোগ সুবিধাকে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করছে। এ বছরই দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নতুন ১৫০টি শয্যা যোগ করা হবে। আগামীতে যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ক্যান্সার রোগের বিস্তার বাংলাদেশেও ব্যাপক। ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল বলে সরকারিভাবে প্রতিটি বিভাগে এর চিকিৎসা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার জনগণের মধ্যে জীবন যাপন ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।