
সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক ইনোভেশন সার্কেল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রমা রাণী রায়,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ,রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান,খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব সুদত্ত চাকমা বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় ইনোভেশন ধারনা উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইনোভেশন স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ।অনুষ্ঠানে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে আন্তরিক।তাই উন্নয়ন করতে হলে আগে প্রয়োজন পরিকল্পনা,পরিকল্পনার আলোকেই উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।সে জন্য সরকারের প্রতিটি উন্নয়ন সংস্থাকে এলাকার স্বার্থে কি কি কর্মপরিকল্পনা নেয়া যায় সে সব ঠিক করতে হবে।তিনি আরো বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ের উন্নয়নের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে,দেশী বিদেশী উন্নয়ন সংস্থা পার্বত্য এলাকায় উন্নয়ন কাজ করছে,তাই উন্নয়নের সুফল জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌঁছিয়ে দিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এম.পি আরো বলেন,বিভিন্ন সরকারী সেবা জনগনের দ্বারগোড়ায় পৌছিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে কর্মকর্তাদের নিজেদের কর্ম দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।এইসব কাজে যে সব কর্মকর্তরা দক্ষতার পরিচয় দিবেন তাদের কর্মজীবনে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
কর্মশালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদ,রাঙামাটি জেলা প্রানী সম্পদ কার্যালয়,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক টাস্ক ফোর্স এর পক্ষ থেকে ৬ টি ইনোভেশন আইডিয়ার ধারনা উপস্থাপন করা হয়।পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে এবং মন্ত্রী পরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটু আই প্রকল্পের সহায়তায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স,কৃষি,প্রাণী সম্পদ,মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।