সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ দেশে আনার পর আজ সকাল ১০টার দিকে নেয়া হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে জাতীয় ও দলীয় পতাকায় মোড়া কফিনে ফুল দিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী আশরাফের জানাজায় অংশ নিয়ে স্মরণ করেন তাদের ‘দুঃসময়ের কাণ্ডারীকে’। সততা, নির্লোভ মানসিকতা আর রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সৈয়দ আশরাফ শেষযাত্রায় শ্রদ্ধা পেয়েছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকেও।
একাত্তরের রণাঙ্গনে মুজিব বাহিনীর এই যোদ্ধার প্রতি ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় রাষ্ট্রীয় সম্মান।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার পর হেলিকপ্টারে করে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। সেখানে পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে বেলা ১২টায় তার জানাজা হয়।
এরপর দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে আরেক দফা জানাজা হয়। তৃতীয় জানাজা শেষে ঢাকায় এনে আসর নামাজের পর বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
৬৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় তার।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ নৌকার প্রার্থী হয়ে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।