বান্দরবান অফিসঃ-বন্দী গণতন্ত্র মুক্ত করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সমঝোতার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।তিনি বলেন,দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখতে, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত রূপ দিতে বেগম খালেদা জিয়াকে খুবই দরকার।তাই সবাই আমরা তার মুক্তির অপেক্ষায় তাকিয়ে আছি।তবে যেই দল একদিনে,এক মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল গঠন করে সেই দলের কাছে আন্দোলন ছাড়া গণতন্ত্রকে মুক্ত করা কঠিন হবে।তাই আমাদের আন্দোলনকে বেগবান করে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিরর মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাব।সোমবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিশ সরোয়ারসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন নামের একটি সংগঠন।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন,আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাই।কিন্তু সে আন্দোলনকে বিপথে নেয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করছে সরকার। তাই সরকারকে উদ্দেশ্যকরে বলতে চাই আমাদেরকে অসহায় ভাবা উচিত হবে না।কারণ আওয়ামী লীগ খুব নিম্নস্তরে আছে।তিনি বলেন,গত কয়েকদিন ধরে আমরা খুব উদ্বিগ্ন খালেদা জিয়া স্যাঁতস্যাঁতে কারাগারে অসুস্থ।গতকাল আমাদের মহাসচিব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।১২৫ কোটি টাকার দায়ে আমাদের ৮ জন নেতার বিরুদ্ধে দুদক তল্লাশি চালাচ্ছে।তাই আমাদের মন খুবই খারাপ।৭৮ হাজার মামলায় ১৮ লাখ আসামি।আজকে আমরা এ মামলাকে ভয় পাই না।আমার ভয় একটাই সেটা হলো বেগম খালেদা জিয়ার যেন কিছু না হয়। উন্নয়নের দেশ হিসেবে নাম লেখার জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন,গুলশান থেকে প্রেসক্লাবে আসতে সময় দুই ঘণ্টা ১৭ মিনিট।তাহলে উন্নয়নের ধারা তারা কিভাবে রাখবে।তারা লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করার জন্য তারা ব্যস্ত। গণতন্ত্র থাকুক আর না থাকুক সেটার দিকে তাদের লক্ষ্য নাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান রহমান হাবিব,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ,নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো:আবু জাফর,জাগপার সাধারন খন্দকার লুৎফর রহমান,জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা,ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া,লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন,জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো:আনোয়ার,কৃষকদল নেতা গোলাম সরোয়ার সরকারী প্রমুখ।