বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা যায়, ২০০১-২০০৬ সালের জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন দুর্নীতি, একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা, দেশব্যাপী জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করা, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের কারণে জনগণের কাছে সরাসরি উপস্থিত হয়ে ভোট চাইতে পারছে না বিএনপি-জামায়াত। পাশাপাশি চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ এবং যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দিয়ে দেশপ্রেমিক জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। তাই সম্ভাব্য পরাজয় অনুধাবন করে বিএনপি-জামায়াত জোট এবারের নির্বাচনে বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত রাষ্ট্রদ্রোহীদের ব্যবহার করে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ভোটকেন্দ্র দখলসহ যেকোন অগণতান্ত্রিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে তৎপর। জানা গেছে, বিডিআরের ৬ হাজার চাকরিচ্যুত, ৩৮৭ জন অব্যাহতি পাওয়া এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়ে মুক্ত হওয়া সদস্যদের বিপুল পরিমাণ অর্থের লোভ দেখিয়ে, চাকরি পুনর্বহালের প্রলোভন দেখিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। বিডিআরের চাকরিচ্যুত এবং অব্যাহতি পাওয়া সদস্যদের একত্রিত করে ঢাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসনে পাঠানোর দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা। জানা গেছে, টার্গেট করা ১৭০টি আসনে পদবি ও সক্ষমতা বিবেচনা করে বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তাদের কাজ হবে নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রগুলোর বাইরে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করা। যাতে করে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা কেন্দ্রগুলো দখল করে চাহিদা মাফিক ব্যালটে সিল মেরে প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে পারে। এই কাজে প্রয়োজন হলে বাধাদানকারীদের হত্যা করা অথবা শারীরিকভাবে জখম করার পরিকল্পনার বিষয়ে জানা গেছে।
বিএনপি-জামায়াতের এমন ঘৃণ্য ও ভয়ংকর পরিকল্পনার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আমি জানতে পেরেছি, নির্বাচনে জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত বিডিআরের চাকরিচ্যুত ও বহিষ্কৃত সদস্যদের ভোট চুরির জন্য নিয়োগ দিচ্ছে। শুনেছি, তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থের লোভ দেখিয়ে বিএনপি-জামায়াত এই মিশনে তাদের ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। চাকরিচ্যুতদের নতুন করে বিজিবিতে চাকরি দেয়ারও লোভ দেখাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিডিআরের চাকরিচ্যুতরা কিন্তু ট্রেইনড। তারা সহজেই সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, মারধর করে ভোটকেন্দ্র দখল করতে সক্ষম হবে। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর তারা হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি বিগড়ে দিতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনের পূর্বে আরো বেশি সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ঠিক করবে। জনগণ জেনেশুনে জোরপূর্বকভাবে চোর-দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় বসাটাকে মেনে নেবে না।