যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়া একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি তারেক রহমানসহ সব দণ্ডিত অপরাধীদের ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের বিদায়ী হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন এ অনুরোধ জানান।
বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে জানা গেছে, লন্ডনে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য সময় চেয়েছেন ব্লেক। তবে বিষয়টি সময়সাধ্য ব্যাপার বলেও জানা গেছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের বিদায়ী হাইকমিশনারের এমন মনোভাবে লন্ডন বিএনপির রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তাহলে কি শেষ পর্যন্ত তারেককে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিবে ইংল্যান্ড সরকার, তারেক রহমান এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতির কি হবে, এমন সব গুঞ্জন লন্ডনে বিএনপির রাজনীতিতে চাউর হয়েছে। যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেনের বরাতে গুঞ্জনের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আবুল হোসেন জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বিদায়ী হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারের তরফ থেকে তারেক রহমানকে ফেরত চাওয়ায় লন্ডন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিভিন্ন গুঞ্জনও চাউর হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক মামলা থেকে বাঁচতে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেয়া বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীরা এমন খবরে গা ঢাকাও দিয়েছেন। কারণ তারা নিয়মিতভাবে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন। তারেক রহমানও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ঘটনার পর পর তিনি তার স্থানীয় আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন তিনি। কারণ যুক্তরাজ্য সরকারের নজরদারিতে থাকেন তিনি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্টের কাছে।
তিনি আরো বলেন, যতই চেষ্টা করুক, যুক্তরাজ্য বিএনপি থাকতে কোনদিনই তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে যেতে পারবে না কেউ। আমরা এই প্রচেষ্টাকে আইনিভাবে প্রতিহত করব। প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঠেকাব। প্রবাস থেকেই দল চালিয়ে বিএনপিকে একদিন ঠিকই ক্ষমতায় বসাতে সক্ষম হবেন তারেক রহমান। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি আমরা ।