‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ‘ এই লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিল সরকার। নির্বাচনী ইশতেহার সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে তারা। অর্থাৎ কোনো লোক দেখানো প্রচারণা তারা করেননি। এজন্যই দেশের সাধারণ জনগণ তাদের উপর আস্থা রেখেছে এবং ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দেয়া হবে বিদ্যুতের আলো। যেমন কথা তেমন কাজ। দেশে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। নির্মাণ করা হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সম্প্রতি সরকারের পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড নিয়েছে একটি অভিনব উদ্যোগ। ভ্যান গাড়িতে করে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা যাচ্ছে এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। তাদের ভ্যান গাড়িতে থাকছে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করার যাবতীয় সরঞ্জাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামবাসীরা যারা সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতো তারাও এখন এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সেই সংযোগ স্থাপনকারী গাড়িতে থাকছে বৈদ্যুতিক মিটার, তার ও প্রয়োজনীয় যাবতীয় সরঞ্জামাদি। সঙ্গে আছেন দুজন লাইনম্যান ও একজন ওয়ারিং পরিদর্শক।
প্রতিদিন সকাল থেকে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তাঁরা। এর উদ্যোক্তা ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শেখ আবদুর রহমান। এলাকার মানুষ যাতে দ্রুত সময়ের ভিতর বিদ্যুৎ সংযোগ পায় এজন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পুরোনো গ্রাহকদের কোনো সমস্যা থাকলে তারা তা ঠিক করার সুযোগ পাচ্ছে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে এই কার্যক্রমটি শুরু করা হয়েছে। সেই অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানো পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই কার্যক্রমের নাম দেয়া হয়েছে ‘ আলোর ফেরিওয়ালা -, পল্লী বিদ্যুৎ দুয়ার মিটারিং কার্যক্রম। ’
ঝিনাইদহের হরিয়ানকুণ্ডু উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই ইউনিয়নগুলোর অধীনে ১৩৬টি গ্রাম রয়েছে। সেই গ্রামে ৩ লাখ লোকের বসবাস। চাঁদপুর নামের একটি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ৭টি ইউনিয়নে বর্তমানে ৩৭ হাজার ২১৫ জন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন। প্রতিদিনই নতুন সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এক তথ্য মতে জানা যায় যে , ২৪ ডিসেম্বর ১৩টি নতুন সংযোগ দেওয়া হয়।এরপর ২৫ ডিসেম্বর ১৫ টি, ২৬ ডিসেম্বর ১৬টি ও ২৭ ডিসেম্বর ১১টি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের জন্য তিনদিন এই কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। নির্বাচনের পর এ কার্যক্রম পুনরায় আবার চালু করা হয়েছে।
গ্রামবাসীরা যারা বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আগ্রহী তারা সদস্য ফি বাবদ ভ্যাটসহ ১১৫ টাকা আর জামানত হিসেবে ৪০০ টাকা (বাণিজ্যিক হলে ৮০০) জমা দিতে হচ্ছে। আলোর ফেরিওয়ালাদের কাছে টাকা জমা নেওয়ার রসিদ বই থাকছে, তাঁরা সেখানে বসেই টাকা জমা করছেন। এরপর ওয়্যারিং পরিদর্শক ওয়্যারিং যাচাই করে ঠিক আছে জানালেই সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়ায় মাত্র পাঁচ–ছয় মিনিট সময় লাগছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য গ্রাহককে শহরে আসতে হচ্ছে না, আবেদনের পাঁচ মিনিটেই সংযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
রূপকল্প – ২১ ও রূপকল্প -৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্রুত প্রান্তিক জনগণের জীবনমান উন্নত হয়েছে। ‘ প্রতিটি গ্রাম হবে শহর ‘ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে বাড়ানো হচ্ছে নাগরিক সুযোগ সুবিধা। দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন দেশবাসী।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.