করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রবিবার (১৬ মে) থেকে ১৪ দিনের লকডাউন কার্যকর হচ্ছে। সেখানে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার জন্য পুনরায় নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) রবিবার থেকেই ইস্যু করবে কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন।
এ বিষয়ে কলকাতা মিশনের প্রধান তৌফিক হাসান শনিবার (১৫ মে) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা সরকারি নির্দেশে ৮ মে থেকে এনওসি দেওয়া বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু এটি আবারও কাল (রবিবার) থেকে চালু হবে।’
এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ২ শ’ এনওসি ইস্যু করা হযেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পার হয়েছেন তিন হাজার ৭৭ জন।’
উল্লেখ্য, এত লোক একটি বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করায় যশোর ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পূর্ণ হয়ে যায়। মূলত সে কারণেই এনওসি দেওয়া বন্ধ করা হয়। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ভারত থেকে কেউ দেশে প্রবেশ করলে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
তৌফিক হাসান বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আরও তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশিরা প্রবেশ করতে পারবেন। এই বন্দর তিনটি হচ্ছে— দর্শনা, হিলি ও সোনামসজিদ।’
লকডাউনের মধ্যে বাংলাদেশিরা কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে যাতায়াত করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি এবং অনুরোধ করেছি, ওই এনওসিকে যেন মুভমেন্ট পাস হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আগে গত বছর একই ধরনের পরিস্থিতি হয়েছিল এবং তখনও আমরা একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলাম।’
এছাড়া ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও পরের ১৫ দিন কোনও ধরনের জরিমানা করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে, যা বাংলাদেশিদের সহায়তা করবে বলেও তিনি জানান।
কলকাতা মিশন প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করেছি, যাতে করে বাংলাদেশিরা নির্বিঘ্নে যেকোনও স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারেন। নিয়ম হচ্ছে— ভিসায় যে স্থলবন্দরগুলোর নাম উল্লেখ আছে, সেটি দিয়েই প্রবেশ ও প্রস্থান করা। কিন্তু এই বিশেষ পরিস্থিতিতে যেকোনও অনুমোদিত বন্দর দিয়ে যেন তাদের প্রস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়, সেজন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে থাকা সব বাংলাদেশিকে সাবধানে থাকার জন্য অনুরোধ করেছি।’
উল্লেখ্য, রবিবার (১৬ মে) থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই সময়ের মধ্যে সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান (জরুরি পরিষেবা ব্যতীত), বিনোদনকেন্দ্র, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, বিউটি পার্লারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। খাবার ও খাদ্য সামগ্রীর দোকান নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.