স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থীদেরই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অতীত কর্মকাণ্ড, দলের জন্য ত্যাগ, জনপ্রিয়তা এবং স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মুলতবি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলেন। দল থেকে যাকেই প্রার্থী করা হোক না কেন, তার পক্ষে কাজ করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, রশিদুল আলম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় এক হাজার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থীর নামও চূড়ান্ত করা হয়। তবে আগের দিনের মতো গতকালের বৈঠক শেষে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আজ শনিবার এসব প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। আজ বিকেল ৪টায় গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের তৃতীয় দিনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে মনোনয়ন বোর্ডের চার দিনব্যাপী বৈঠক শুরু হয়। প্রথম দিনের বৈঠকে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর পৌরসভা, পাবনার বেড়া, নোয়াখালীর সেনবাগ, রংপুরের পীরগঞ্জ, পটুয়াখালীর গলাচিপা, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, গাজীপুরের কালিয়াকৈর এবং নীলফামারী সদর পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
নয়টি পৌরসভা ও এক হাজার সাতটি ইউপি নির্বাচনে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মনোনয়নের আবেদন ফরম বিক্রি ও জমা নেওয়া হয়। ৫ হাজার ৪৮৬ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় ফরম কেনেন।