নিউজ ডেস্কঃ- সম্প্রতি নয়াপল্টনে বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের গাড়ি পোড়ানোসহ সহিংসতায় বিএনপি কর্মীদের সরাসরি মদদ দিয়েছে আইএসআই। বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করার পরিকল্পনা ছিলো, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষ প্রচেষ্টায় দুষ্কৃতিকারীরা পরিস্থিতি ততটা ঘোলাটে করতে পারেনি।
জানা গেছে, দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ব্যবহার করে কিছু উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ও আইএসআই যৌথভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার ছক কষছে। এর প্রথম প্রচেষ্টা হিসেবে নয়াপল্টনের সহিংসতা তৈরি করা হয়। সহিংসতায় জড়িত গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দিতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র বলছে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলটির ছয়জন কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশ ও মদদে নয়াপল্টনে পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়। পুলিশের উপর হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজসহ অন্যান্য আলামত বিশ্লেষণ করে নাশকতাকারীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। যারা অধিকাংশই নয়াপল্টনের সহিংসতায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’এর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অন্যান্যরা এ হামলায় বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও মির্জা আব্বাসের নাম স্বীকার করেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য পাকিস্তানি দূতাবাসকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও নাশকতায় জড়িতরা জানিয়েছেন। কিভাবে পুরো দেশে বিএনপি-জামায়াতকে ব্যবহার করে আক্রমণ হবে, তার জন্য পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।
জানা যায়, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলেছে। ঢাকাকে অস্থিতিশীল করার জন্য তার আড়ালে চলছে বিএনপি-জামায়াতের উগ্রকর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ। ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের তদারকিও করছেন নিয়মিত। কূটনীতির মোড়কে সন্ত্রাসের চালান করছে পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা। বিএনপি-জামায়াতের উগ্রকর্মীদের কাজে লাগিয়ে দেশের মাটিতে নাশকতা ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করায় এই প্রশিক্ষণের কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। জানা গেছে, অসাধু বিকৃতমস্তিষ্কের কিছু পাক কূটনীতিক আন্ডারকভার আইএসআই এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করছে। তাদের সহযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে নাশকতায় সম্পৃক্ত পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মো. মাজহার খান বাংলাদেশ বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে মেয়াদ পূর্তির আগেই পাকিস্তানে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলমান অস্থিরতায় মাজহার খানের কর্মকাণ্ড যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় তা নয়াপল্টনের সহিংসতায় জড়িতদের জবানবন্দিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.