ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির অধীনে এ পর্যন্ত ২২ লাখ ৯ হাজার ৯১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে অস্থায়ী কর্মসংযুক্তি প্রাপ্ত ২২ লাখ ৭ হাজার ৫৭৫ জন। কর্ম কর্ম সংযুক্তিতে ২০০৯-১০ অর্থবছরে হতে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত তিন হাজার ১৮০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ কর্মসূচির বরাদ্দ ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে উত্থাপিত বৈঠকের কার্যপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকার দলীয় নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য এ কর্মসূচি ২০০৯-১০ অর্থবছরে চালু হয়। পাইলটিং কর্মসূচি হতে ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে সপ্তম পর্ব পর্যন্ত ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৩৭ জেলার ১২৮ উপজেলায় এ কর্মসূচি ভুক্ত হয়েছে। কর্ম প্রত্যাশী যুবক ও যুব মহিলা যারা শিক্ষিত (উচ্চ মাধ্যমিক ও তার বেশি) এবং বয়স ২৪ থেকে ৩৫ তারা এ কর্মসূচির উপকারভোগী। এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবন সংলগ্ন পরিত্যক্ত সুইমিং পুলটি ভেঙে ২৫-৩০ তলা বিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস বিল্ডিং তৈরির সুপারিশ করেছে কমিটি। বৈঠকে বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের জন্য একজন পুরুষ ও একজন মহিলা কোচ নিয়োগ, প্রশিক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের স্থায়ী জায়গা/মাঠের ব্যবস্থা এবং অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জুয়েল আরেং এবং এ এম নাঈমুর রহমান বৈঠকে অংশ নেন।