তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের পদ থেকে বাদ দিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় দলের স্থায়ী কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির পাঁচজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, দলের আপাতত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রয়োজন নেই। বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও তিনি যে দল পরিচালনা করতে পারবেন না- এরকম কোন বিধান বিএনপির গঠনতন্ত্রে নেই। কাজেই, বেগম খালেদা জিয়াই চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আপাতত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই বলে বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসে, দল পুনর্গঠন এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের যে শূন্য পদ রয়েছে তা পূরণ এবং নতুন মহাসচিবের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন। যেহেতু খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আপাতত অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, এজন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাইকো দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া হাজিরা দিতে গেলে, তখন মওদুদ দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। সেখানে বেগম খালেদা জিয়া যাকে মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করবেন এবং যাদেরকে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করবেন, তাদেরকে স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পর্যন্ত দলের কাউন্সিল দরকার নেই এবং বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী দল চলবে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলো এখন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য কোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করা হবে এবং সেখানে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিএনপির কোন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ নেই। কাজেই এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বিএনপি মূলত তারেক রহমানের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করলো। এর ফলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো। বিএনপিতে সিনিয়র নেতারা কেউই তারেক রহমানের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছিলেন না।
তারা মনে করেন, বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর ঝুঁকি নিয়ে হলেও তারেক রহমানের দেশে আসা উচিত ছিল। বিদেশে থেকে তিনি যেমন একের পর এক নির্দেশ এবং আদেশ দেন, সেগুলো দলের জন্য বুমেরাং হয়ে উঠছে। তবে বিএনপিতে এখনো তারেক রহমানের পক্ষে একটা বিরাট শক্তি রয়েছে। যারা নতুন তৃণমূল এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ। এই শক্তিটা স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত কিভাবে নেবে- সেটাই দেখার বিষয়। এর ফলে বিএনপির বিভক্তি আরেকধাপ এগিয়ে গেলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.