নিউজ ডেস্কঃ-দেশব্যাপী বইছে নির্বাচনী হাওয়া। শহর-বন্দর কিংবা নগর-গ্রামে প্রার্থীরা ব্যস্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে। জনসাধারণও মুখিয়ে আছেন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে।
কিন্তু যেসব দল এখনও নিজেদের ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের নাগরিক ভেবে জাবর কাটেন, তারা কী ভাবছেন? সচেতন পাঠক মাত্রই বুঝে নিয়েছেন যে দেশবিরোধী চিহ্নিত অপশক্তি তথাকথিত ঐক্যফ্রন্টের কথা বলা হচ্ছে।
সাম্প্রতিককালে কয়েকটি ফোনালাপ ও ঐক্যফ্রন্টের ‘ফ্রড’ নেতাদের হম্বিতম্বিতে তাদের পরিকল্পনা এখন স্পষ্ট। এক সময় সারা শরীরে লাল রঙ মেখে তাকে রক্ত হিসেবে প্রচার করেছিলেন সাদেক হোসেন খোকা ওরফে বোকা খোকা। অন্যদিকে ‘দলছুট’ মাহমুদুর রহমান মান্না পল্টি নেওয়াতে ‘পল্টি মওদুদ’ এর বেশ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেলেন।
বোকা খোকা ও হতাশ মান্নার এক অডিও ক্লিপে ‘আন্দোলন চাঙ্গা করতে লাশ ফেলতে হবে’ এমন কথা তাই ফের উঠে এসেছে আলোচনায়। এছাড়াও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সাথে ফোনালাপেও মান্নাকে ‘নাশকতার নির্দেশ দিতে শোনা যায়।
‘জনগণের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাবার খোয়াব দেখা বিএনপি-জামায়াত জোটের লোকেরা আর কবে সত্যিকারের মানবতাবাদী হবেন!
বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বেলায় অবশ্য এসব সন্ত্রাস-খুন, অপকর্মই স্বাভাবিক। খোদ খালেদাই যেখানে নাশকতার নির্দেশ দিচ্ছেন, এ রকম বেশকিছু অডিও ইন্টারেট জগতে আছে, সেখানে খোকা-মান্না গং তো খালেদারই ভৃত্য।
নিজেদের শাসনামলে গ্রেনেড-বোমার অবাধ বিস্তার কিংবা ২০১৪ সালের নারকীয় আগুন সন্ত্রাসের দগদগে ঘা যেখানে বাংলা মায়ের বুক থেকে আজও শুকিয়ে যায়নি, সেখানে আবারও তারা নেমেছে পাশবিক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা নিয়ে।
সরকারের সহিষ্ণু ও উদার মনোভাবের সুযোগ নিয়ে জায়গায় জায়গায় নির্বিঘ্নে সমাবেশ করে আদতে তারা নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনীকেই সংগঠিত করছেন।
নির্বাচনমুখী দেশকে তারা নিয়ে যেতে চাচ্ছে অন্ধকারের অতলে। অনুসন্ধানে জানা যায়, আগুন সন্ত্রাসের পাশাপাশি এবার তাদের মিশন টার্গেট কিলিং। যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের সাংসদ-নেতাদের ওপর হামলা করে হত্যা করতে চাইবে তারা। এ কাজে তাদের সহযোগীতা করছে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন অপশক্তি।
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে জনগণের সরকারকে হটানো যে পাকি প্রেতাত্নাদের জন্য অসম্ভব, তা তারা জানে বেশ ভালোভাবেই। তাই তারা তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসকেই বেছে নিয়েছেন। তবে তাদের এ আশাকে দেশের উন্নয়নকামী জনসাধারণ হতাশায় পরিণত করবে- এমনটাই মতামত সংশ্লিষ্টদের।