সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে নিহত ২ সেনা কর্মকর্তা ও ২ সেনাসদস্যের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে বাদ জোহর নামাজে জানাজা হয়।সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক,বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার ও নৌ বাহিনীর প্রধান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ জানাজায় অংশ নেন।এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নিহতদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।নিহত দুই সেনা কর্মকর্তা মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক এবং ক্যাপ্টেন মো.তানভীর সালামকে বৃহস্পতিবার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।এছাড়া কর্পোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক এবং সৈনিক মো.শাহিন আলমের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এর আগে দুই কর্মকর্তাসহ নিহত চার সেনা সদস্যের মরদেহ রাঙামাটি থেকে ঢাকায় আনা হয়। বুধবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে তাদের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।মঙ্গলবার রাঙামাটির মানিকছড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনায় উদ্ধার কাজে গিয়ে নিহত হন মেজর মাহফুজ,ক্যাপ্টেন তানভীর,করপোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক ও সৈনিক শাহীন আলম।এদিন ভোরে মানিকছড়িতে পাহাড় ধসে মাটি ও গাছ পড়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়।তাৎক্ষণিকভাবে জোন সদরের নির্দেশে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।সকাল ১১টার দিকে উদ্ধারস্থলের পাহাড়ের একটি বড় অংশ তাদের ওপর ধসে পড়লে তারা মূল সড়ক ৩০ ফিট নিচে পড়ে যান।পরে আরেকটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চার জন সেনাসদস্যকে নিহত উদ্ধার করে।একই সঙ্গে আহত ১০ জন সেনাসদস্যকেও উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় সৈনিক মো.আজিজুর রহমান এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।এ ছাড়া একই ঘটনায় আহত সেনা সদস্যদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার হেলিকপ্টারযোগে তাদের ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।