নিউজ ডেস্কঃ-নির্বাচনে সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই প্রধান দুটি প্রতিপক্ষের মধ্যে ব্যবধান কমছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জমজমাট ভোটের লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন দূতাবাস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সারাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ, জনমত ইত্যাদি নিয়ে জরিপ করছে। মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই জরিপটি করেছে, দেশের বৃহত্তম একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। গত ১৫ নভেম্বর উন্নয়ন সংস্থাটি এই জরিপ রিপোর্টটি মার্কিন দূতাবাসকে দিয়েছে।
নির্বাচনের আগে, এই উন্নয়ন সংস্থা আরও দু-দফা জরিপ করবে বলে জানা গেছে। জরিপে, এখন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট (জাতীয় পার্টিসহ) ১৬৩ টি আসন জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে অন্যদিকে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ১২৭ টি আসনে। বাকি ২০ টি আসন অনিশ্চিত।
জরিপে বলা হয়েছে, বিএনপি নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্তে জনমত উৎসাহিত। নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল/জোটের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, এখনো সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। ৩৭ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন, সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ১০ ভাগ উত্তরদাতা এ নিয়ে মন্তব্য করেননি।
নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ কিনা এ প্রশ্নের উত্তরেও ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন কমিশন এখনো নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। অবশ্য, ৩৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। ৮ ভাগ উত্তরদাতা মনে করছে, এ ব্যাপারে এখনই মন্তব্য করার সময় হয়নি।
সরকার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছে কিনা, এর উত্তরে অবশ্য ৬৭ ভাগ উত্তরদাতাই বলেছে, সরকার এখনো প্রভাব বিস্তার করছে না। ২৭ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন, সরকার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। ৬ ভাগ উত্তরদাতা এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নারী ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছিল এবারের নির্বাচনে তারা ভোট দেবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে ৭১ ভাগ উত্তরদাতাই বলেছেন, নির্বাচনে তারা ভোট দেবেন। নারীরা কি স্বেচ্ছায় ভোট দেবেন নাকি স্বামী/অভিভাবকের নির্দেশে ভোট দেবেন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে মাত্র ৪১ ভাগ নারী উত্তরদাতা বলেছেন, তারা স্বেচ্ছায় ভোট দেবেন। এক্ষেত্রে ৩৮ ভাগ বলেছেন তারা পরিবারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ২১ ভাগ নারী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জরিপে প্রশ্ন ছিল তরুণ ভোটারদের জন্য। জরিপে এবার তরুণ ভোটারদের ভোটদানের উৎসাহ দেখা গেছে। উত্তরদাতা ৮২ ভাগই বলেছেন, তারা ভোট দেবেন।
ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত কীভাবে নেবেন সে প্রশ্নের উত্তরেও ৬৯ শতাংশ বলেছেন, তারা নিজেরা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলোচনা আলোচনা করে ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তরুণদের উৎসাহ থাকলেও এবার নির্বাচনে প্রতিবন্ধী ভোটারদের উৎসাহ কম। উত্তরদাতা প্রতিবন্ধীদের মধ্যে মাত্র ১৬ ভাগ বলেছেন তারা ভোট দেবেন।
অবশ্য ৩২ ভাগ বলেছেন ভোট দেবেন কিনা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। ৫২ ভাগই বলেছেন, তারা ভোট দিতে যাবেন না। এক্ষেত্রে তাদের সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবেশগত সমস্যা, ভোটকেন্দ্র প্রতিবন্ধী বান্ধব না হওয়া ইত্যাদি।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.