জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে হলে ভোটারদের মন জয়ের বিকল্প নেই। তাই প্রার্থীরাও শেষ দম পর্যন্ত হেটে বেড়াচ্ছে ভোটারদের ঘরের দরজায় দরজায়। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতিও। নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে প্রার্থীরা যখন তার নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ পন্থায় কাজে লাগাচ্ছে, ঠিক সে সময়টিতে সমর্থক-অনুসারিদের অভাবে নির্বাচনী প্রচারণার বাইরে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়দাতা বিএনপি নির্বাচনের কেন্দ্রগুলোর বুথের জন্য পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেয়ার লোক পর্যন্ত পাচ্ছেনা।
বিশেষজ্ঞদের মতে এ নির্বাচনে বিএনপি দলটি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআই’ এর ইশারায় দলের ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন বঞ্চিত করে পাকিস্থানপন্থীদের প্রার্থী করাতেই বিএনপির তৃণমূলের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে আইনানুগভাবে এবং প্রয়োজনে যেসব পদক্ষেপ নিতে হয় তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রতি বুথে প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া। ভোটগ্রহণের দিন প্রতি বুথে প্রার্থীর যে এজেন্ট নিয়োগ করা হয়, ওইদিন তার দায়িত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র তিনদিন যেখানে বাকি, তখনই দলের গোপন সূত্রে জানাগেছে যে, কেন্দ্রের বুথে দেয়ার মতো ‘ধানের শীষে’র পোলিং এজেন্ট পাওয়াটাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন বঞ্চিতদের নানান হুমকি ধামকির কারণে আতঙ্কে রয়েছে পোলিং এজেন্ট হওয়ার মতো আগ্রহীরা। তার ওপর মামলার আসামী হওয়াতে আমাদের অনেক কর্মীই দেশের বাইরে, তাই লোকের অভাবে ভোটকেন্দ্রে ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট পাওয়া এখন দুরূহ হয়ে উঠেছে।
পরক্ষণেই তিনি প্রশাসন-সরকার দলকে এর জন্য দোষারোপ করেন। জানান, পোলিং এজেন্ট এখনো খুঁজে না পাওয়ার কারণে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখছেন তিনি।
বিএনপির ওই নেতা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দল থেকে যখন চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ঠিক তার পর থেকেই নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে বিএনপির বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা দলের শীর্ষ নেতাদের পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছেনা। একের পর এক হামলা করে আমাদের তৃণমূল কর্মীদের মনে আতঙ্ক তৈরি করে দিয়েছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ভীতিকর পরিস্থিতি ততই যেন বাড়ছে। এজন্যই কর্মী-সমর্থকদের মাঝ থেকে পোলিং এজেন্ট পাওয়াটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
সাধারণত নির্বাচনে পোলিং এজেন্টদের করণীয়:-
(০১) প্রথমে ব্যালট বক্সের হিসাব নিতে হবে, (০২) ব্যালট পেপার ও সেন্টারের ভোটার সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে, (০৩) ভোট দেওয়ার সময় কোনো অতিরিক্ত ব্যালট পেপার যেন বক্সে না ঢুকায়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে, (০৪) প্রতিটি স্বচ্ছ বক্স লক করে নম্বর নিতে হবে এবং তা কাগজে লিখে রাখতে হবে, (০৫) ভোট শেষে বক্স লক করে নম্বর লিখে রাখতে হবে, (০৬) জোর করে ব্যালট পেপার নিয়ে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্টজনদের জানাতে হবে। (০৭) গণনার পর নতুন কোনো কারচুপি হয় কিনা সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। (০৮) ভোট শেষে প্রতিটি বুথে ভোটসংখ্যা অনুযায়ী মূল পোলিং এজেন্টকে ব্যালট পেপার-বক্সসহ আগের সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। (০৯) মূল পোলিং এজেন্ট ভোট গণনার পর ভোট বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার স্বাক্ষর দেবেন না।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.