একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ ৭ দিন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই শেষ সাত দিনের নির্বাচন নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। গুঞ্জন চাউর হয়েছে যে, নির্বাচন বানচালের জন্য ভয়ংকর কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে এরকম পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে নির্বাচনের পূর্বে সকল ধরণের নাশকতা রুখে দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের কথাও উল্লেখ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততোই সহিংসতা এবং নাশকতার শঙ্কা বাড়ছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা কঠিন এক চ্যালেঞ্জ।’তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আশা করছে যে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার রয়েছে। নির্বাচনের আগে ভয়ংকর যে সব ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চলছে তার মধ্যে রয়েছে:
১. নির্বাচনের আগে বেশ কিছু ভিআইপি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হিট লিস্টে রাখা হয়েছে। তাদের উপর আক্রমণ করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এরকম বেশ কিছু ব্যক্তির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
২. গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন সরকারি ভবন, থানা ইত্যাদি টার্গেট করা হয়েছে। নির্বাচন বানচালের জন্য এই সব ভবন আক্রমণের পরিকল্পনার বেশ কিছু তথ্য এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
৩. একযোগে ঝটিকা আন্দোলনের একটি পরিকল্পনার তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে। নির্বাচনের আগে দুই তিনদিনের একটি সর্বাত্মক এবং ঝটিকা আন্দোলনের চেষ্টা চলছে। যে আন্দোলন হবে সহিংস এবং নাশকতামূলক।
৪. হোলি আর্টিজানের মতো ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ ধরণের হামলায় বিদেশীদের টার্গেট করা হয়েছে। যেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে নির্বাচন করাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৫. ভোটের দিন অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার তথ্যও হাতে এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। ভোটকেন্দ্র আক্রমণ, ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আক্রমণকারীদের ‘নৌকা’ প্রতীকের ব্যাজ পরিয়ে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ানো হবে। যেন মনে হয় শাসক দলই এই সব করেছে। এছাড়াও আরও অনেক পরিকল্পনা তথ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে। এসব পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচন বানচাল করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। ন্যূনতম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হয়।
তবে, একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য জানিয়েছেন, যেহেতু পরিকল্পনার কথা আমরা জেনেছি, তাই এটা বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে বলা হয়েছে, এই সব পরিকল্পনাই করা হচ্ছে লন্ডন থেকে। আর এসব করছে তারেক রহমান।