দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের নির্বাচন কমিশন ধাপে ধাপে নির্বাচন পূর্ববর্তী সকল ধরণের কাজ সম্পন্ন করছে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে যোগ্য প্রার্থীদের। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীরাই বিভিন্ন আসনে লড়বেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বর্তমানে প্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায়।
দেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠের মাধ্যমে এ প্রচারণা শুরু করবে। অপরদিকে কয়েকটি দলের জোট নিয়ে গঠিত বিএনপি সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছে বিএনপি। দেশের অনেক মুসুল্লি সিলেটের হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজ শুরু করতে দেখা যায়। অনেকে মনে করেন কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে মাজার জিয়ারত করলে কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এই উদ্দেশ্যেই বিএনপির জোট ঐক্যফ্রন্ট এই কাজটি করে এবং প্রচারণা শুরু করে। এই প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা কারাগারের বাহিরে থাকলেও এভাবেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতেন।
যতই ধর্মীয় আচার, বিশ্বাস মেনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করুক না কেন, বিএনপি পদে পদে তাদের মিথ্যাচারের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। ‘মিথ্যা বলা মহা পাপ’। কিন্তু এই মিথ্যাকেই পুঁজি করে নির্বাচনী প্রচারণায় এগোচ্ছে মিথ্যাবাদী এই দল। মিথ্যার মাধ্যমে তারা জনগণকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় এজন্য নির্বাচন কমিশন সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা তা মানতে নারাজ। তারা মেতে আছে আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নির্বাচন বানচাল করতে।
নতুন করে গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি প্রচার কালে বলেছেন প্রশাসন যে কার্যক্রম শুরু করেছে তাতে নির্বাচনে টিকে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। কিন্তু মিথ্যাচারী এই দলকে প্রশাসন থেকেই বলা হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে। এই ক্ষেত্রে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর ব্যাপারে অতীত ও বর্তমান জানা প্রয়োজন। অতীতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বা অবৈধ উপায়ে সম্পদ সংগ্রহকারীকে মনোনয়ন দেয়ার নিয়ম পৃথিবীর কোথাও নেই।
দলের রেষারেষির জন্য বর্তমানে খুন, গুম হচ্ছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এসে যশোর জেলার বিএনপির সহ-সভাপতি আবু বকর খুন হন। বিএনপি এই খুনের দায়ও চাপিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে। সেই সাথে উড়োখবর ছড়াচ্ছে এসব খুন, গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
নিজের অপরাধ আওয়ামী লীগের দিকে ছোঁড়া বিএনপির একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে বিএনপির মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের নামে বিভিন্ন মিথ্যাচার, গুজব, উড়োখবর, ভিত্তিহীন খবর ছড়ানোর মাধ্যমে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রচারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। মিথ্যাচারই এখন বিএনপির একমাত্র হাতিয়ার।