দেশের কর্মক্ষম মানুষের অর্ধেক নারী। এই নারী শক্তিকে বাদ দিয়ে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারী যদি আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিছিয়ে থাকে তাহলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তাদের ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, আমাদের সমাজে নারীর প্রধান শত্রু অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও অপরের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত। এসব থেকে বের হয়ে নারীকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দৃঢ়তার সাথে পুরুষের পাশাপাশি পথ চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্য প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার ও তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে তথ্য সেবা কর্মকর্তারা এক একজন সমাজের ‘চেঞ্জ এজেন্ট’ দায়িত্ব পালন করবে।
কামরুন নাহার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করবেন। গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান, উৎপাদিত পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে বাজারজাত করণে ভূমিকা রাখবেন।আপনাদের দক্ষতা ও কর্মের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের সমমুখী প্রবণতা রোধ হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল বাংলাদেশ ও নারীর ক্ষমতায়ন তথ্য আপা প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।
জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এ এম নছিহুল কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সচিব জাহানারা পারভীন,‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মীনা পারভীন।
তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৪৯০টি উপজেলায় একজন তথ্য সেবা কর্মকর্তা ও দু’জন সহকারীসহ মোট ১৪৭০ জন তথ্য সেবা কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে। এ সব কর্মকর্তা উপজেলা কেন্দ্র ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১ কোটি নারীকে ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্য সেবা, ই-কমার্স ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেবেন।