দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ৪:৫০ : অপরাহ্ণ 644 Views

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জমে থাকা প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ইতোমধ্যেই তোরজোড় শুরু হয়ে গেছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও চলছে পুরোদমে। আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে থাকাকালীন সময়ে এই প্রকল্পের কাজ কিছুটা ধীরগতিতে এগিয়ে চললেও এখন তা চলছে দ্রুতগতিতে। এদিকে আগামী ২০২০ সালের জুন মাস থেকেই জনগণ এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও এই প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়েও আর কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন এক্সিম ব্যাংক অব চায়না এই জানুয়ারি মাসেই ৮৬১ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুমোদন করেছে। সঙ্গে আছে আইসিবিসি, তারা আরও ৪০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুমোদন করেছে। এখন আর অর্থায়নের কোন সমস্যা নাই। মার্চ নাগাদ সব টাকা এসে যাবে। তাই আমরা আশাবাদী যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারব। টাকার সংস্থান হওয়া মানেই আর বসে থাকার কোন সুযোগ নেই। আমরা এগিয়ে যাব। আশাকরি আর কোন জটিলতা সামনে আসবে না। দ্বিতীয় ফেজের কাজ শেষ হলেই জনগণ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পাবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় ফেজ সম্পন্ন হলে অপারেশনটা আমরা করতে পারব। প্রথম ফেজটা ফিজিবল হবে না। আগামী বছর জুলাই নাগাদ দ্বিতীয় ফেজের কাজ শেষ হলে অপারেশন শুরু হয়ে যাবে। প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে গতিতে কাজ চলছে তাতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উত্তর-দক্ষিণে ঢাকা শহরের যানজট অন্তত ৩০ শতাংশ কমে যাবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ করছে সরকার; যার মধ্যে ২০ কিলোমিটার হচ্ছে মূল সড়ক। বাকি ২৬ কিলোমিটার উড়াল সড়কে ওঠা ও নামার র‌্যাম্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইটাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি। অর্থসংস্থান ও জমি জটিলতায় প্রকল্পের কাজ অনেক দিন থমকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজে গত এপ্রিল থেকে গতি এসেছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়দাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
প্রকল্প এলাকাকে তিন অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় অংশে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় অংশে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!