বুধবার রাজধানীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এক সময় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হবে। জাপান সরকার ও জাইকা এই সরকারের নির্মাণপ্রচেষ্টায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বিবেচনার অবস্থানে থাকবে।’
ইতো বলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণকাজে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকলে টোকিও ভালো প্রযুক্তি দিতে প্রস্তুত আছে। জাপান এ পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে ছোট-বড় ১৩৪টি সেতু নির্মাণে সহযোগিতা করেছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় একটি চমৎকার মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মাণ শেষ হয়েছে।’ পদ্মা সেতুকে দেশের স্বপ্ন ও গর্ব হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য কী করতে পারে এটি তার বড় প্রমাণ। এটি বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এ মাসে পদ্মা সেতু এবং এ বছরের শেষ নাগাদ মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মানসম্মত অবকাঠামো উদ্বোধনের নজির সৃষ্টির মাধ্যমে ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) পদ্মা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই এবং রূপসা সেতু নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি সন্তোষজনক বিষয় যে, জাপান একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের অংশ হতে পেরেছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, জাইকা পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের অংশ হতে পারেনি, যদিও এতে জাপান সরকারের আগ্রহ ছিল।’ পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত, বাংলাদেশ নিজে থেকে কতটা করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, জাপান রূপকল্প-২০৪১ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রায় পাশে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান একটি শিল্প করিডোর নির্মাণের জন্য বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের ওপর দৃষ্টি দিচ্ছে।