দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা নেওয়ার বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করা হবে। খুব শিগগিরই এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
শুক্রবার রাজধানীর কোভিড ডেডিকেটেড সরকারি মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা টিকাদানের বয়সসীমা কমানোর ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ রোধে ফ্রন্টলাইনার (যারা সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করছে) ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সি সাধারণ নাগরিকদের টিকার আওতায় আনা হবে।
গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার বিষয়ে খুরশীদ আলম বলেন, সরকারের অন্যান্য টিকা যেভাবে দেওয়া হয়, সেভাবেই করোনার টিকা দেওয়া যায় কি না এবং আরও সহজ কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে সরকার ভাবছে।
ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, 'আমি হাসপাতাল তিনটি পরিদর্শন করার সময় জেনেছি- রোগীদের শতকরা ৯৭ ভাগ করোনার টিকা গ্রহণ করেননি। তাদের অধিকাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। টিকা না নেওয়ার ব্যাপারে রোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন- কেউ টিকা নিতে ভয় পেয়েছেন, আবার কেউ অবহেলা করে টিকা নেননি। এমনকি কেউ কেউ শুরুতে চিকিৎসাও নেননি।'
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, 'স্বাভাবিক সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা ৭০ থেকে ৯০ টনের মতো থাকে। এখন তা ২০০ টনে চলে গেছে। তবে এখনো দেশে অক্সিজেনের জোগান আছে, ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব কি না, তা এখনো বুঝতে পারছি না। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে সরকারের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভালো আছে। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে।'
বিধিনিষেধের প্রভাব প্রসঙ্গে খুরশীদ আলম বলেন, আগের দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধে তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। তবে সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ কমেছে। তবে আরও কিছু দিন পরে বিধিনিষেধের প্রভাব বোঝা যাবে। প্রসঙ্গত দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে বয়সসীমা ৪০ বছর করা হয়েছিল। এরপর তা কমিয়ে ৩৫ নির্ধারণ করা হয়। এখন তা আঠারোতে নামিয়ে আনতে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.