দুর্নীতির মামলায় জেল খাটছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া দুর্নীতি ও নানাবিধ অপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে পলাতক জীবন যাপন করছেন তারেক রহমান। দুর্নীতিতে জর্জরিত এই জিয়া পরিবার নাকি পুরো বাংলাদেশের আস্থার জায়গা- এমনটাই মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তার মতে, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল, আর জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নাকি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সমান।
এদিকে দুর্নীতির কারণে দণ্ডিত ও জনধিকৃত বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন উপমায় চরম ক্ষিপ্ত রাজনীতি সচেতন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, চাটুকারিতার রাজনীতিতে অন্ধ হয়ে গয়েশ্বর দুর্নীতিবাজদের হারানো গৌরব ফেরাতে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। আর বিএনপির বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করছে না বরং পদ-পদবীর লোভে দলটির নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেই আজকে তাদের রাজনীতি পল্টনেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে বিএনপি দুর্নীতিবাজ নেতাদের সাথে দেশের আম জনতাকে মিলিয়ে ফেলায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অধ্যাপক এ আরাফাত। তিনি বলেন, এদেশের জনগণ কখনই কোনো দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না। দুর্নীতিবাজরা কখনই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না। দুর্নীতির কারণে আজকে বিএনপির চরম দুর্দশা। অথচ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো সিনিয়র নেতারা বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে নাকি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির শত্রু তো বিএনপি নিজেই। দলটির নেতারা পদের জন্য একে অপরের পা টানাটানি করেন। বিএনপি কোনো অর্থেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। তারা কেবল দুর্নীতি করে দেশকে পিছিয়ে দিতে পারে। আর এটাই দলটির বড় যোগ্যতা। চাটুকারিতা, অবিশ্বাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে বিএনপি আজ অস্তিত্ব বাঁচাতে যুদ্ধ করছে। বিএনপির অবস্থা তো ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ মতো!