বান্দরবান অফিসঃ-অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ৯ ব্যবসায়ীকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তলবে সাড়া দিয়ে এদিন সকাল ১১টা ৫ মিনিটে হাজির হন চার ব্যবসায়ী। তবে আসেননি ফালুসহ ৫ জন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘৯ জনের আসার কথা ছিল। তার মধ্যে চারজন জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হয়েছে। কিন্তু ফালুসহ বিএনপিপন্থী পাঁচ নেতা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসলো না। এটি নিতান্তই আইনের অমান্য করা। এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার সাহস কোথায় পায় তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এদিকে যারা আইনের সঙ্গে এমন আচরণ করে তারা দেশের মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করবে কিভাবে? এমন প্রশ্ন তুলে সুজনের এক নেতা বলেন, আইনের প্রতি এমন অশ্রদ্ধা গ্রহণযোগ্য নয়। মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি দেশের হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার করে দিয়েছেন। দেশের গরীব দুঃখীদের টাকা যারা এভাবে বাইরে পাচার করে তারা পুনরায় সাধারণ মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা চায়। যা কখনো কাম্য নয়।
দুর্নীতির মামালায় ৫ বছরের জন্য কারাভোগ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেল খাটার ভয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। বর্তমানে দুদকের ডাকা সাড়াও দিচ্ছে না বিএনপির বড় বড় দুর্নীতিবাজ নেতারা। এমন চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোট পাওয়া বিএনপির জন্য কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।