দেশের পুরনো মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১১ জুন) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এদিকে এম মোরশেদ খানের বিষয়ে দুদকের তোড়জোড়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাসের মতো সিনিয়র নেতারা। কারণ, এসব বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধেও অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, আয়কর ফাঁকি ও বেনামে সম্পদ অর্জনের একাধিক মামলা রয়েছে। মোরশেদ খানের বিষয়ে আদালতে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় অচিরেই এসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রাসহ গ্রেফতার নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। নেতাদের মনে এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে এমন গুঞ্জনের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিএনপির নয়াপল্টন পার্টি অফিসের একটি সূত্র বলছে, এম মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ নতুন নয়। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি পরিবারসমেত আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলেন- এমন গুঞ্জন বিভিন্ন সময়ে চাউর হয়েছে। যার কারণে পরবর্তীতে দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েন মোরশেদ খান। এছাড়া সিটিসেলের নামে মোবাইল কোম্পানি গঠন করে ইচ্ছামতো মোবাইল ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করায় পরবর্তীতে দুদক মোরশেদ খানসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দায়ের করে। সূত্র এও বলছে, বিভিন্ন দুর্নীতি মামলা থেকে বাঁচতে মোরশেদ খান আগে একাধিকবার গোপনে দেশত্যাগ করার চেষ্টাও করেছিলেন। যার কারণে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার রফা-দফা না হওয়া পর্যন্ত তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
অন্য একটি সূত্র বলছে, মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে আদালতের নতুন নির্দেশনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। দুদকের অভিযান অব্যাহত থাকলে আগামী ঈদুল আযহা জেল হাজতে পার করতে হতে পারে- এমন আতঙ্কে ভুগছেন নেতারা। কারণ, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের গুরুতর সব অভিযোগ রয়েছে।