সাবেক সচিব ও নবনিযুক্ত নির্বাহী কমিটির সদস্য এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী জায়ামাতে ইসলামীর সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যুদ্ধাপরাধ ও নেতৃত্বের কোন্দলের জের ধরে করা এ প্রতিবাদের ফলে নতুন করে সামনে এসেছে পুরনো ইস্যু। একে নতুন বোতলে পুরনো বিষ বলে উল্লেখ করে রাজনীতি সচেতনরা বলছেন, এই কোন্দলই তাদের জন্য কাল হচ্ছে এবং হবে। যা তারা শত চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারছে না।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে কেন্দ্র করে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। ওইদিনই জামায়াত থেকে বহিষ্কৃত হন ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জু। এরপর তারা নতুন করে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ নামে রাজনৈতিক মঞ্চ গঠন করেন। সম্প্রতি জন আকাঙ্ক্ষার কর্মশালায় দেখা গিয়েছিলো সোলায়মান চৌধুরীকে। সে হিসেবে অনেকেই ধারণা করছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জন আকাঙ্ক্ষায় যোগ দেবেন তিনি।
এদিকে গোপন একটি সূত্র বলছে, জামায়াতের সাবেক আমির মকবুল আহমাদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলে নেতৃত্বের কোন্দল দেখা দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে দলের অনেক নেতার মনমালিন্যের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি জামায়াত থেকে মকবুল আহমাদের সরে যাওয়াও নেতৃত্বের কোন্দলের অংশ বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগরের সিনিয়র একজন নেতা। তিনি বলেন, জামায়াতের নীতিনির্ধারকরা চাপ প্রয়োগ করে মকবুল আহমাদকে দল থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছেন।
অন্যদিকে, ব্যারিস্টার রাজ্জাক পদত্যাগের পর নতুন নামে জামায়াতের একটি দল করার জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিলেও এখনো তার অগ্রগতি হয়নি। এই ইস্যুতে সদ্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য হওয়া সোলায়মান চৌধুরীর সাথে সিনিয়র নেতাদের মনমালিন্য চলছিলো। কিন্তু এই বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় শেষমেশ তিনি দল থেকে পদত্যাগ করলেন। তিনি জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশে যোগ দেবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের একজন সদস্য।
শুধু সোলায়মান চৌধুরী নয়, জামায়াত থেকে আরো কয়েকজন সিনিয়র নেতা পদত্যাগ করবেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। নেতৃত্বের কোন্দল ও যুদ্ধাপরাধ ইস্যুর কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।