লন্ডনে তারেক রহমানের অবৈধ বিনিয়োগ ও সম্পদ অর্জনের সাক্ষ্য দিয়ে রোষানলে পড়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অবৈধ লেনদেনের কারণে তারেক দম্পতির তিনটি অ্যাকাউন্ট জব্দ হওয়ার ঘটনাকে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টায় কথাচ্ছলে তিনি তারেকের লন্ডনে বিনিয়োগের বিষয়গুলোর বর্ণনা দিলে বিএনপির রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।
বিএনপির তরফ থেকে তারেক রহমানকে নির্দোষ প্রমাণ করার শত চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে জনগণের সামনে তাকে লুটতরাজে জড়িয়ে ফেলায় দলীয় চাপের মুখে পড়েছেন রিজভী আহমেদ। এছাড়া আগামী জাতীয় কাউন্সিলে পদ হারানোরও শঙ্কায় পড়েছেন তিনি। দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে অভিযোগ ও শঙ্কার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিএনপির নয়াপল্টন পার্টি অফিসের একটি সূত্র বলছে, তারেক-জোবায়দা দম্পতির দুটি অ্যাকাউন্ট জব্দ হওয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে রয়েছেন তারেক রহমান। অবৈধ সম্পদ অর্জন করে বিদেশে পাচারের যেসব অভিযোগ তারেকের বিরুদ্ধে ছিল, রিজভীর কারণে সেই অভিযোগগুলো সত্য প্রমাণিত হলো। তাদের অ্যাকাউন্ট জব্দ হওয়ার পর চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এতে যদি অপরাধ ও দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত হয় তবে লন্ডনেও চাপে পড়বেন তারা। পাশাপাশি দণ্ডিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি নেতাদের মুখ বন্ধ রাখার ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল লন্ডন থেকে। কিন্তু রিজভী আহমেদ হঠাৎ এমন প্রেস কনফারেন্স করে হিতে বিপরীত করে ফেলেছেন।
সূত্রটি আরো জানায়, যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের যে অর্থ আছে তা ইনল্যান্ড রেভিনিউতে ট্যাক্সপেইড বলে দাবি করেছেন রিজভী। সেখানে তার যা অর্থ আছে তা ইনল্যান্ড রেভিনিউতে ট্যাক্সপেইড অর্থ। এসব করে তিনি পরিস্থিতি বিগড়ে দিয়েছেন। রিজভীর বক্তব্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোর সত্যতা অনেকাংশে নিশ্চিত হওয়া গেছে। লন্ডনে তারেক যে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন সেটির গ্যারান্টি দিলেন রিজভী। দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়াও স্পষ্ট হয়ে যায়। রিজভীর ভুলের কারণে নতুন করে তারেক রহমানের গায়ে কালিমা লেপন করা হলো। অতিরিক্ত জ্ঞানীভাব দেখাতে দিয়ে দলের কাছে এখন সমালোচিত রিজভী। এমন বোকামির জন্য রিজভীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।