সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-১৯ মে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দেন বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বি. চৌধুরী তার বক্তব্যের শুরুতেই তারেককে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ওয়াদা বরখেলাপকারীকে আল্লাহ পছন্দ করে না। যারা মুখে এক আর কাজে আরেক তাঁদের আল্লাহ পছন্দ করে না।’ এছাড়াও এর কিছুদিন আগে জাতীয় দৈনিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বি. চৌধুরী তার অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, তারেক দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সর্বনাশ হবে। তার এমন বক্তব্যের পরেও কেন তাকে বিএনপির ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রণ জানানো হল সে ব্যাপার নিয়ে মির্জা ফখরুলের ওপর দারুন চটে যান তারেক।
সে দিন বিএনপির এক নেতার তেজগাঁও এর বাসায় মির্জা ফখরুল নৈশভোজে গেলে তারেক ফখরুলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন। কেন বি. চৌধুরীকে ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রণ জানানো হল এবং কেনইবা তাকে বক্তব্যের সুযোগ দেয়া হল সে বিষয়ে ফখরুলের কাছে জানতে চান তিনি। ফখরুল কোনো সদুত্তর দিতে না পারলে তারেক পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, কেন তার মায়ের কারাবরণ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেননা বি চৌধুরী? ফখরুলকে এক হাত দেখে নিতে তারেক এও বলেন যে, তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব করে ফখরুল কি বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন কিনা। বি. চৌধুরী যদি খালেদার কারাবরণ নিয়ে সরকারে বিরুদ্ধে কিছু না বলেন তাহলে দলের সিনিয়র মহাসচিবের পদ থেকে ফখরুলকে অব্যাহতি নিতে হবে বলে হুশিয়ার করেন তারেক। বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেন যে তারেকের এমন ঔদ্ধতপূর্ণ আচরণে যথেষ্ট বিমর্ষ হয়ে পড়েন ফখরুল।
এরপর থেকে বি. চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে ফখরুল খালেদার কারাবরণের বিরুদ্ধে সরকারকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য প্রদান করতে অনুরোধ করেন। মূলত ফখরুলের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করেই বি. চৌধুরী ৪ মে ঢাকা মহানগর উত্তর বিকল্পধারার আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদার কারাবাস নিয়ে মুখ খোলেন। সরকারকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে কিছু না বললেও খালেদার কারাবরণকে ব্রিটিশ আমলের ঔপনিবেশিক মানসিকতার সাথে তুলনা করেন তিনি। তার এমন বক্তব্যেও তারেককে কটাক্ষ করার সূক্ষ্ম অভ্যাস পাওয়া যায়। তারেক যেহেতু ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ধারণ করে লন্ডনে পলাতক আছেন, তাই ব্রিটিশদের উদাহরণ টেনে খালেদার রায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে তিনি সাপও মারলেন লাঠিও ভাঙলেননা।