দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারেক রহমানকে বিশেষ রিপোর্ট দেয়ার নামে ২ সদস্য বিশিষ্ট পকেট কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। জানা গেছে, দেশব্যাপী বিভিন্ন ধরণের নির্যাতন ও অনিয়ম-বিষয়ক মনগড়া তথ্য সংগ্রহ করে এই কমিটি বিশেষ একটি মিশন কমপ্লিট করতে বিস্তারিত তথ্য লন্ডনে পাঠাবে।
সূত্র বলছে, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যাচার ছড়ানো হবে। মূলত বিএনপি-জামায়াতের অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক চক্রগুলোকে ব্যবহার করে তারেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর কাছে বাংলাদেশকে ব্যর্থরাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে এমন মিশন হাতে নিয়েছেন তারেক রহমান।
জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বেগম সেলিমা রহমানকে নির্যাতনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ এবং নির্যাতিতদের দলের পক্ষ থেকে সহায়তার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে গোপন একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দুই সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। সাধারণ জনগণের ভোগান্তির নামে মূলত বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের তথ্য তুলে আনা হবে এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য। এরপর সংগৃহীত তথ্য দেশবিরোধী বলে চালাতে পরিশোধন ও পরিমার্জন করে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হবে। সেই তথ্য তারেক আরেক দফায় বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক লবিস্টদের, বিশেষ করে ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলের হাতে তুলে দেবেন। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াতের পেইড লবিস্টরা ইইউ, বিভিন্ন দাতা-সংস্থা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশকে ব্যর্থরাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে প্রাণপণ চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে বাংলাদেশের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এমনকি সহায়তা বন্ধ করতেও বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে নিজেদের মতো করে বোঝাবে বিএনপির লবিস্টরা।
জানা গেছে, বেগম জিয়ার মুক্তি ও নতুন একটি নির্বাচন আদায়ে তারেকের নির্দেশে মূলত গয়েশ্বর ও সেলিমা দু-এক দিনের মধ্যে কাজে নেমে পড়বেন। তবে তারেক রহমানের এই গোপন মিশনের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে বিএনপি। বিশেষ এই কমিটির অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের তথ্য কে ফাঁস করলো, সেটি খোঁজার চেষ্টা করছে দলটি।