বাংলাদেশকে দেওয়া জাপানের উপহারের টিকার পঞ্চম চালান ঢাকায় পৌঁছেছে। এ চালানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে টিকা বহনকারী ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছন। তিনি জানান, পঞ্চম চালানে জাপান সরকারের ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। ৭টা ২৫ মিনিটে টিকা বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া জাপানের উপহারের পঞ্চম চালান টোকিও থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এদিন স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাতে নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।
গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়। এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয় চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেশে আসে। গত ২ আগস্ট আসে উপহারের আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা। ২১ আগস্ট চতুর্থ চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় আসে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি কোভ্যাক্সের আওতায় ১৫টি দেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে তালিকায় বাংলাদেশের নামও ছিল। সেখান থেকেই ৩০ লাখের বেশি ডোজ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
দেশে ২ কোটি ৫২ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৫১৯ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৭৮ লাখ ২৮ হাজার ৩০২ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ২১৭ জন মানুষ। তাদের দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্নার টিকা।
এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭১ আর নারী ৭৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৩১ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪৫ লাখ ৫৮ হাজার ৫ জন, নারী ২৮ লাখ ৭২ হাজার ২১২ জন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার ২২ ডোজ। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৭১ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ ডোজ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ লাখ ২৩ হাজার ৫১৭ জন এবং নারী ৪১ লাখ ৯৮ হাজার ৫০৫ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৮ জন প্রথম ডোজ এবং ৫২ লাখ ৯২ হাজার ৩৫৪ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীর ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১৩ হাজার ৩৮০ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ৩৩ লাখ ৭ হাজার ২২৯ এবং নারী ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ১২৫ জন।