জানা গেছে, ২০ দলীয় জোটের মধ্যে দৃশ্যমান ভাঙ্গন রোধ করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের স্বার্থে রাজপথে পুনরায় ফিরে কাজ করছেন জোটটির সিনিয়র নেতারা। নাগরিক আন্দোলনকে বাদ দিয়ে প্রতিরোধের রাজনীতি করে সারাদেশে ২০ দলীয় জোটের জনপ্রিয়তা বোঝাতে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তাই ড. কামালদের মত সুশীল রাজনীতিবিদদের পরামর্শ এড়িয়ে রাজনীতিবিদদের পরামর্শ গ্রহণ করে মূল রাজনৈতিক ধারায় ফিরতে আগ্রহী ২০ দলীয় জোট। সেক্ষেত্রে আন্দোলন-অবরোধ, প্রতিরোধ করে দাবি আদায় করার পক্ষে মত দিয়েছে জোটের নেতৃবৃন্দ।
ড. কামালদের পরামর্শের জালে আটকে পড়া বিএনপিকে নতুন রূপে ফিরতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ বলেন, বিএনপির প্রথম ভুল ছিলো ড. কামালকে ত্রাতা মনে করা। বিএনপি নেতৃবৃন্দ চৌকিদারকে বড় অফিসার মনে করে চরম ভুল করেছে। সেই ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে বিএনপিকে। আমরা বারবার কঠোর আন্দোলনের কথা বললেও তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল সাহেব ড. কামালকে অন্ধ অনুসরণ করে আম-ছালা দুটোই হারিয়েছে। আজকের বিএনপি দেখলে করুণা হয়। রাজনীতির সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে বিএনপির তরী। অচিরেই কঠিন ও কঠোর সিদ্ধান্ত না নিলে, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটকে হারিয়ে গিয়ে ইতিহাসের অংশ হতে হবে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এই বিষয়ে আদালতের আদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ড. কামালদের নিয়ে শুরু থেকেই আমরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলাম। কারণ ড. কামাল এবং তার অনুসারীরা ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে শুধুমাত্র জোট করেছিলেন সংসদে ঢোকার জন্য। ২০ দলীয় জোটে ওপর ভর দিয়ে তারা রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করার অপচেষ্টা করেছিলেন। ড. কামাল ও তার অনুসারীরা হলো জ্ঞানপাপী। রাজনীতির মাঠে নীতি কথার দাম নেই। এখানে যার শক্তি আছে তারাই টিকে থাকবে। এতদিন জামায়াতকে নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা ছিল না। এখন তারা চরিত্র পাল্টাতে শুরু করেছেন। ২০ দলীয় জোটকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই ড. কামালদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। ২০ দলীয় জোটকে আইসিইউতে নেয়ার জন্য ড. কামালরা দায়ী। মাঠের রাজনীতি আর বই পড়া রাজনীতি দুটি আলাদা বিষয়। কল্পনায় বসবাস করাটা বোকামি। সেই বোকামি করেছে ২০ দলীয় জোট। ড. কামালদের ছাড়তে না পারলে বিএনপি-জামায়াতের জোট ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।