ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে বিএনপিকে। ড. কামালের ডাকে সাড়া দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হওয়া নিজ নেতাদের শপথ পড়িয়ে শ্যাম-কূল উভয় রক্ষা করা ড. কামালের কুপরামর্শে বিএনপি রাজনীতির মাঠে হাস্যকর হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন দলটির একাধিক ক্ষুব্ধ নেতা। বিএনপির রাজনীতিতে বিভক্তি সৃষ্টি করে দলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েই ড. কামাল ক্ষান্ত হবেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
ড. কামালকে বিশ্বাস করে বিএনপি রাজনৈতিক ভুল করেছে এবং এই ভুলের জন্য আগামীতে চরম মূল্য দিতে হবে বলে মনে করছেন দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তার মতে, ড. কামাল যে বিএনপিকে নাস্তানাবুদ করার মিশনে নেমেছেন তা ঐক্যজোটের প্রথম কয়েকটি বৈঠকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। শুরু থেকেই আন্দোলন কর্মসূচি, নির্বাচন বর্জন ও আদর্শিক দ্বন্দ্ব বুঝতে পেরে আমি প্রথম তারেক রহমানকে অবগত করি। কিন্তু জানি না ড. কামাল কী জাদু করেছিলেন যে, তারেকসহ বিএনপির কোন নেতাই আমার কথা বিশ্বাস করতে রাজি হননি। উপরন্তু আমাকে মনোনয়ন না দেয়া এবং পদচ্যুত করার মতো হুমকিও দেয়া হয়েছিলো।
তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, ড. কামাল একটি কুচক্রী মহলের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ঐক্যজোটের নামে বিএনপি ধ্বংসের দীর্ঘমেয়াদি মিশনে নেমেছেন। তিনি কিন্তু ঠিকই তার দলের বিজয়ীদের শপথ করিয়ে নিলেন আর বিএনপিকে দেশব্যাপী অচ্ছুত বানিয়ে দিলেন। আরো বড় ধরনের বিপর্যয় ঠেকাতে হলে দ্রুত ড. কামালের মতো জ্ঞানপাপীর সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। আসলে আমাদের সময়ই খারাপ। না হলে বিএনপির মতো বৃহৎ একটি দলের সঙ্গে প্রতারণার সাহস পান কিভাবে ড. কামাল?
ড. কামালের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ড. কামাল হোসেন হলেন রাজনীতির বিষাক্ত সাপ। বয়স বাড়লেও ড. কামালের কূটবুদ্ধি জোগান কমেনি এতটুকুও। কৌশলে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে গিয়ে অজনপ্রিয় দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন। আমি প্রথম থেকেই বলছিলাম যে, ড. কামাল ক্ষমতাসীনদের এজেন্ট। তাকে বিশ্বাস করে বিএনপি খাল কেটে কুমির এনে নিজের অস্তিত্বকে সংকটে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, ড. কামাল সাপের মুখেও চুমু দেন আবার ব্যাঙের মুখেও চুমু দিয়ে ব্যালেন্স করেন। তিনি দুমুখো করাতের মতো। অনেকটা জোঁকের মতো বিএনপির গায়ে চেপে বসে রক্ত চুষে নিজে মিশন কমপ্লিট করার চেষ্টা করছেন তিনি। সময় যেহেতু খারাপ তাই সুযোগ সন্ধানীরা বিএনপিকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে পারছে । নইলে কিভাবে সুলতান মনসুরের মতো আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত নেতা ধানের শীষ নিয়ে জয়ী হয়ে আবার দলের সঙ্গে বেইমানি করে!