নিউজ ডেস্কঃ-আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে দলের অধিকাংশ নেতাকমীর্ জিয়া পরিবারের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া বিএনপিকে মেনে নিতে পারছে না। বিশেষ করে দলের কট্টরপন্থি একটি অংশ যাচ্ছে যেভাবেই হোক নিবার্চনে দলের নেতৃত্বে জিয়া পরিবারের কেউ আসুক। এর অংশ হিসেবে দলের চেইন অব কমান্ড ধরে রাখতে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানকে দেশে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে দলের নীতিনির্ধারনী ফোরামের কট্টরপন্থি অংশের নেতাদের চাপে জোবায়দাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
ডা. জোবায়দা রহমান বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন; এমন আলোচনা দলের ভেতরে-বাইরে দীঘির্দনের। দলের নীতিনিধার্রকদের একটি অংশও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অবতর্মানে ডা. জোবায়দাকে দেশে ফেরাতে আগ্রহী। তারা চান, দুই শীর্ষ নেতার অবর্তমানে জিয়া পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে ডা. জোবায়দা দলের দুঃসময়ে সক্রিয় হবেন। পরিচ্ছন্ন ইমেজের ডা. জোবায়দা বিএনপিতে সক্রিয় হলে দল লাভবান হবে, এমন আশা দলীয় নেতাকর্মীদের।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির উচ্চ পযাের্য়র কয়েকজন নেতা জোবায়দা রহমানকে দেশে ফেরাতে দীঘির্দন ধরে চেষ্টা করছেন। কিন্তু জোবায়দার স্বামী তারেক রহমান এতে সায় দিচ্ছিলেন না। সম্প্রতি দলের নেতৃত্বে জিয়া পরিবারের শূন্যতা চরমভাবে অনুভূত হওয়ায় ওইসব সিনিয়র নেতা আবারও উদ্যোগ নেন। এবার অবশ্য তারেক রহমান ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এরপরই গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিবের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকে জোবায়দা রহমানকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
দলের সিনিয়র এক নেতা বলেন, জোবায়দা রহমানের দেশে ফেরা এবং রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে আন্তজাির্তক অভিবাসনসহ বিভিন্ন আইনি প্রতিবন্ধকতা আছে। এরপরও সেসব আইন সমস্যা সমাধান করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারণার যাতে জোবায়দা ভূমিকা রাখতে পারেন সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত জোবায়দা রহমানকে ফেরানো সম্ভব না হলে নিবার্চনের মাঠে জিয়া পরিবারের প্রতিনিধিত্ব রাখতে বিকল্প ভাবা হতে পারে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, ডা. জোবায়দা সাবেক নৌবাহিনী প্রধান ও উপ-সামরিক আইন প্রশাসক মরহুম রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মেয়ে। তার বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা জোবায়দা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। এক-এগারোর সময় তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এমডি (কাডির্ওলজি) কোসের্র তৃতীয় পর্বের অধ্যয়নরত অবস্থায় অসুস্থ স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান।
এরপর জোবায়দা ইমপেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন থেকে চার বছরের মাস্টার্স অব কার্ডিওলজিতে শতকরা ৮৩ ভাগ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান লাভ করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কমনওয়েলথভুক্ত দেশ, নাইজেরিয়া, চীনসহ মোট ৫৫টি দেশের ছাত্রছাত্রীরা এই কোর্সের অংশ নিয়েছিলেন। গত ১০ বছরে ডা. জোবায়দা একবারও দেশে ফেরেননি। উৎসঃ ইনকিলাব