একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র দখল করে নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য সব ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে কারাগার থেকে বার্তা পাঠিয়েছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বার্তায় বেগম জিয়া ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে এবং ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে সব ধরনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় চেয়ারপারসনের এই বার্তা পড়ে শোনান। এদিকে নির্বাচনের একদিন আগে হঠাৎ করে খালেদার মতো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির হিংসাত্মক বার্তায় ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট হওয়া এবং নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করার জন্য নেতা-কর্মী, সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন বেগম জিয়া। এর প্রেক্ষিতে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নির্বাচনের আগে যে বার্তা দিয়েছেন তা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন বলে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের মাঝে গুঞ্জন উঠেছে, বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ভোট ডাকাতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চায়, সেটি আবারো প্রমাণ করলেন দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া।
খালেদা জিয়ার বার্তাকে ‘হিংসার বাণী এবং ভোট ডাকাতির আহ্বান’ দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক অধ্যাপক বলেন, নির্বাচনের সন্ধিক্ষণে একজন দণ্ডিত ব্যক্তির ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার নামে ভোট ডাকাতি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সরাসরি উসকানি দিয়েছেন। বিষয়টি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভোটের দিন যদি কোন রকমের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা সৃষ্টি হয় তবে এর পুরো দায়ভার নিতে হবে বেগম জিয়াকেই। তবে আমি এটিও বিশ্বাস করি যে, সাধারণ ভোটাররা এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা আগুন সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গিবাদের মদদ-দাতাদের পক্ষে তাদের মূল্যবান ভোট দেবেন না। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ আর বিএনপি-জামায়াত জোট আমলের দুঃশাসনের যুগে ফেরত যেতে চায় না। বাংলার মানুষ দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার আহ্বানকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে বলেও আমি আশাবাদী।